প্রযুক্তি ডেস্ক : অ্যানালগ মোবাইল হ্যান্ডসেটের জগৎ মাতিয়ে রেখেছিল নোকিয়া ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। পুরোপুরি ডিজিটাল যুগ শুরু হতেই আস্তে আস্তে বাজার থেকে ফিচার ফোন তৈরি বন্ধ করে দেয় নোকিয়া। সে সময় বিশ্বজুড়ে মোবাইল জগতে নোকিয়ার ছিল একচ্ছত্র সাম্রাজ্য। এমন বাস্তবতায় নোকিয়া মোবাইল ফোনের বাজারে স্বমহিমায় ফিরে আসা শুরু করলো। এইচএমডির গুগলের সাথে একটি অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং তারা তাদের স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান প্রোগ্রামের অধীনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যেখানে এইচএমডির ফিচার ফোনগুলো সিরিজ +৩০ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। এইচএমডির সদর দফতর ফিনল্যান্ডে এবং এটি মূলত প্রাক্তন নকিয়া এক্সিকিউটিভদের দ্বারা পরিচালিত।
এইচএমডি গ্লোবাল অধীনস্ত নোকিয়া পুনরায় ফিচার ফোনের বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য নতুন করে এগিয়ে এসেছে। এইচএমডি সংস্থা নোকিয়া একসাথে তিন-তিনটি ফিচার ফোন বাজারে লঞ্চ করলো। এই ফিচার ফোনগুলো হল – ঘড়শরধ ১০৬ (২০২৩), ঘড়শরধ ১০৫ (২০২৩) এবং ঘড়শরধ ১১০ (২০২৩)। এগুলো একাধিক দুর্দান্ত বেসিক ফিচারসহ এসেছে এবং এগুলোতে নোকিয়ার বহুল বিখ্যাত তথা ‘আইরনিক’ স্নেক গেম অফার করা হচ্ছে। এছাড়া বিশেষত্ব হিসাবে উক্ত ফোন ত্রয়ীতে – ওয়্যারলেস এফএম রেডিও, এমপি৩ প্লেয়ার এবং টর্চ -ও পাওয়া যাবে। চলুন ঘড়শরধ ১০৬ (২০২৩), ঘড়শরধ ১০৫ (২০২৩) এবং ঘড়শরধ ১১০ (২০২৩) ফোনের স্পেসিফিকেশন ও দাম জেনে নেওয়া যাক।
ঘড়শরধ ১০৫ (২০২৩): সেগমেন্টের সবথেকে শক্তিশালী ফিচার সমূহের সাথে এসেছে নোকিয়া ১০৫ (২০২৩) ফোনটি। এই বেসিক ফিচার ফোনে ১.৮-ইঞ্চির ছছঠএঅ ডিসপ্লে মিলবে। এস৩০+ (ঝ৩০+) অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই মডেলে ১,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি পাওয়া যাবে। সংস্থার দাবি অনুসারে, এই ব্যাটারি একক চার্জে একটানা ২২ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম অফার করবে। আলোচ্য ২জি-এনাবল ডিভাইসটি ওচ৫২ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট রেটিং সহ এসেছে। এছাড়া এতে এফএম (ঋগ) রেডিও এবং একটি টর্চ -ও পেয়ে যাবেন ইউজাররা। নোকিয়া ১০৫ ফিচার ফোনের দাম ১৮০০ টাকা।
ঘড়শরধ ১০৬ (২০২৩): নোকিয়ার সদ্য লঞ্চ হওয়া তৃতীয় মডেলেটি বেসিক ডিসপ্লে প্যানেল সহ এসেছে। এতে ওয়্যারলেস এফএম রেডিও এবং এমপি৩ প্লেয়ার পাওয়া যাবে। নোকিয়া ১০৬ (২০২৩) ফোনে নির্ধারিত স্টোরেজ বাদেও মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ইন্টারনাল মেমরি ক্যাপাসিটি বর্ধিত করা সম্ভব। যার পর ইউজাররা ৮,০০০ পর্যন্ত গান লোড করতে পারবেন। এই ডিভাইসেও নোকিয়ার ‘আইরনিক’ স্নেক গেম খেলার বিকল্প মিলবে। এছাড়া পাওয়ার ব্যাকআপের কথা বললে, নোকিয়া ১০৬ (২০২৩) ফোনের ব্যাটারি একবার চার্জে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত টকটাইম এবং ২২ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম অফার করবে। নোকিয়া ১০৬ ফিচার ফোনের দাম ১৯৯৯ টাকা।
ঘড়শরধ ১১০ (২০২৩): নোকিয়া ১১০ (২০২৩) ফিচার ফোনে ১.৮-ইঞ্চির কিউকিউভিজিএ ডিসপ্লে রয়েছে। এটি এস৩০+ (ঝ৩০+) অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত। ধার্য স্টোরেজ বাদেও মাইক্রো এসডি কার্ডের সাহায্যে ফোনের মেমরি ক্যাপাসিটি ৩২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ছবি তোলার জন্য ডিভাইসটির পিছনে একটি কিউভিজিএ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। আবার বিনোদনের জন্য নোকিয়ার এই নয়া ফোনে এমপি৩ প্লেয়ারও মিলবে। উক্ত ২জি ফিচার ফোনে ১,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ফোনে স্নেক গেম উপলব্ধ। নোকিয়া ১১০ ফিচার ফোনের দাম ২৩৯৯ টাকা।
নোকিয়া ইগ ১০ (২০২৩): পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সাইজের নোকিয়া ( ইগ ১০ )। মোবাইলের সাইজ: দুই ইঞ্চি। একসাথে দুইটা সিম চলবে। ৩২ জিবি মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করবে। অডিও ভিডিও গান শুনতে পারবেন। ৪টি কণ্ঠস্বরে ভয়েস চেঞ্জার করে কথা বলতে পারবেন। ব্লুটুথ কানেকশন এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কল রিসিভ করা এবং কল করতে পারবেন। সিপিইউ: ৩২ + ৩২ বিট। নেটওয়ার্ক: জিএসএম ৯০০/১৮০০/৮৫০/১৯০০ (৪-ব্যান্ড অপশন)। ডিসপ্লে: ০.৬৬ ইঞ্চি ঙখঊউ / ৬৪ী৪৮। আই / ও মাইক্রো: ৫ পিন। ব্যাটারি:পলিমার লিথিয়াম ব্যাটারি ৩৫০ এমএএইচ। ১ চার্জে ২০ ঘন্টা মতো কথা বলতে পারবেন। ব্লুটুথ: ভি ৩.০ এবং স্পিকার:০৯১৬। নোকিয়া বিএম ১০ ফিচার ফোনের দাম ১২৫০ টাকা।
বাজার মাতাতে এসেছে নোকিয়ার কয়েক মডেলের ফিচার ফোন
জনপ্রিয় সংবাদ