ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫

বাজারের অবস্থা ভালো নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বাজারের অবস্থা ভালো নয়। আমরা যদি শুধু রাজনৈতিক তত্ত্ব ঘাটি, আর মানুষের পেটে যদি ভাত না থাকে, ক্রয়ক্ষমতা যদি না থাকে, তাহলে মানুষ সরকারের ভালো কাজেরও কিন্তু সমালোচনা করবে।

‘মানবাধিকার নিশ্চিতে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা’ শিরোনামে এ সভা আয়োজন করে ‘বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ’।

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান।

সালাহউদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে অনুরোধ করব, আপনারা গরীব মানুষের দিকে লক্ষ্য রাখুন, যেন বাজারের পরিস্থিতি এমন হয় যে তারা ক্রয়সাধ্যের মধ্যে নিত্যপণ্যগুলো পান।

রাষ্ট্রের ‘জরুরি’ সংস্কারগুলো সেরে চলতি বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।

দলের এ দাবির প্রসঙ্গ তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, এখন অনেকে বলে, আমি বিভিন্ন মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখি- উনারা (বিএনপি) শুধু নির্বাচন নির্বাচন করছেন এবং সংস্কার ছাড়া নির্বাচন। সংস্কার তো আমরা চাই। আমরাই সবার আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, এখন আমাদের যদি বলা হয় যে সংস্কার শেষ করে আপনারা নির্বাচনে আসবেন, সেটা তো তাহলে অনিশ্চিত ব্যাপার। যত দিন যাচ্ছে, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ যেন আরও দীর্ঘায়িত করা যায়, সেজন্য কিছু কুটকৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। সেটা থেকে আমরা যেন বিরত থাকি, সেই আহ্বান সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাচ্ছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সময়কার গুম-খুনের সমালোচনাও করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, একজন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারী আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনাকে এখনো আমরা অনুশোচনা করতে দেখিনি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে এখনো গণহত্যার দায় স্বীকার করে অনুশোচনা করে, ক্ষমা চেয়ে তারপরে বাংলাদেশে রাজনীতি করবে- এই কথা বলতে শুনিনি। এটা ভাবতে অবাক লাগে। উল্টো তাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ নাগরিকরাই যেন অপরাধ করেছে।

তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য তুলে ধরে আমরা যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি, তাহলে স্বৈরাচার আর তৈরি হবে না।

সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে ও আলী আকবর সিরাজীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম বক্তব্য রাখেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জ্ঞান বিক্রির হাটে অগ্নিশঙ্কা

বাজারের অবস্থা ভালো নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বাজারের অবস্থা ভালো নয়। আমরা যদি শুধু রাজনৈতিক তত্ত্ব ঘাটি, আর মানুষের পেটে যদি ভাত না থাকে, ক্রয়ক্ষমতা যদি না থাকে, তাহলে মানুষ সরকারের ভালো কাজেরও কিন্তু সমালোচনা করবে।

‘মানবাধিকার নিশ্চিতে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা’ শিরোনামে এ সভা আয়োজন করে ‘বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ’।

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান।

সালাহউদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে অনুরোধ করব, আপনারা গরীব মানুষের দিকে লক্ষ্য রাখুন, যেন বাজারের পরিস্থিতি এমন হয় যে তারা ক্রয়সাধ্যের মধ্যে নিত্যপণ্যগুলো পান।

রাষ্ট্রের ‘জরুরি’ সংস্কারগুলো সেরে চলতি বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।

দলের এ দাবির প্রসঙ্গ তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, এখন অনেকে বলে, আমি বিভিন্ন মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখি- উনারা (বিএনপি) শুধু নির্বাচন নির্বাচন করছেন এবং সংস্কার ছাড়া নির্বাচন। সংস্কার তো আমরা চাই। আমরাই সবার আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, এখন আমাদের যদি বলা হয় যে সংস্কার শেষ করে আপনারা নির্বাচনে আসবেন, সেটা তো তাহলে অনিশ্চিত ব্যাপার। যত দিন যাচ্ছে, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ যেন আরও দীর্ঘায়িত করা যায়, সেজন্য কিছু কুটকৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। সেটা থেকে আমরা যেন বিরত থাকি, সেই আহ্বান সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাচ্ছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সময়কার গুম-খুনের সমালোচনাও করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, একজন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারী আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনাকে এখনো আমরা অনুশোচনা করতে দেখিনি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে এখনো গণহত্যার দায় স্বীকার করে অনুশোচনা করে, ক্ষমা চেয়ে তারপরে বাংলাদেশে রাজনীতি করবে- এই কথা বলতে শুনিনি। এটা ভাবতে অবাক লাগে। উল্টো তাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ নাগরিকরাই যেন অপরাধ করেছে।

তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য তুলে ধরে আমরা যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি, তাহলে স্বৈরাচার আর তৈরি হবে না।

সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে ও আলী আকবর সিরাজীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম বক্তব্য রাখেন।