ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে দুই দফা রকেট হামলা

  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছে দুই দফা রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকের একটি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ওই হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সফর শেষে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই এই হামলার ঘটনা ঘটল। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাধিমি। বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনে সফর করলেন তিনি। তার এই সফরের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেয়া।
এই কাজে তিনি বেশ সফল হয়েছেন বলা চলে। কারণ তার সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে মার্কিন বাহিনী তাদের যুদ্ধের মিশন শেষ করবে। কাধিমি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই ইরাকে মার্কিন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার জন্য ইরানপন্থি বিভিন্ন সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে। ইরাকে বর্তমানে ২ হাজার ৫শ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে, যারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবশিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্থানীয় সেনাদের সহায়তায় ভূমিকা রাখছে।
গত বছর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলেইমানি এবং ইরান সমর্থিত একটি শিয়া মুসলিম মিলিশিয়ার নেতা মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়।
ইরান সমর্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ইরাক থেকে মার্কিন জোটের সব বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানায়। ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ইরাকের। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে বাইডেন বলেছেন, ইরাক থেকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ মিশন শেষে করে সেনারা দেশে ফেরার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরাকের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে। মার্কিন বাহিনী তাদের মিশন শেষ করলেও ইরাকি বাহিনীকে আত্মরক্ষার কাজে প্রশিক্ষণ, উপদেশ ও পরামর্শ দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘ইরাকে আমাদের ভূমিকা থাকবে…প্রশিক্ষণ, সহায়তা এবং আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করা। কিন্তু চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা আমাদের যুদ্ধের মিশন শেষ করতে যাচ্ছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে দুই দফা রকেট হামলা

আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছে দুই দফা রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকের একটি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ওই হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সফর শেষে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই এই হামলার ঘটনা ঘটল। সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাধিমি। বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনে সফর করলেন তিনি। তার এই সফরের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেয়া।
এই কাজে তিনি বেশ সফল হয়েছেন বলা চলে। কারণ তার সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে মার্কিন বাহিনী তাদের যুদ্ধের মিশন শেষ করবে। কাধিমি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই ইরাকে মার্কিন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার জন্য ইরানপন্থি বিভিন্ন সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে। ইরাকে বর্তমানে ২ হাজার ৫শ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে, যারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবশিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্থানীয় সেনাদের সহায়তায় ভূমিকা রাখছে।
গত বছর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলেইমানি এবং ইরান সমর্থিত একটি শিয়া মুসলিম মিলিশিয়ার নেতা মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়।
ইরান সমর্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ইরাক থেকে মার্কিন জোটের সব বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানায়। ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ইরাকের। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে বাইডেন বলেছেন, ইরাক থেকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ মিশন শেষে করে সেনারা দেশে ফেরার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরাকের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে। মার্কিন বাহিনী তাদের মিশন শেষ করলেও ইরাকি বাহিনীকে আত্মরক্ষার কাজে প্রশিক্ষণ, উপদেশ ও পরামর্শ দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘ইরাকে আমাদের ভূমিকা থাকবে…প্রশিক্ষণ, সহায়তা এবং আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করা। কিন্তু চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা আমাদের যুদ্ধের মিশন শেষ করতে যাচ্ছি।’