খুলনা সংবাদদাতা :খুলনার ডুমুরিয়ার পিঁপড়ামারি এলাকায় বাইসাইকেলের প্যাডেলে পা চেপে ইট বিছানো রাস্তা দিয়ে ছুটে চলছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সহকর্মীও বাইসাইকেলে চেপে অফিস অভিমুখে ছুটে চলছেন। এ সময় কথা হয় মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘ এক যুগ ধরে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতাম। অফিস থেকে তেল খরচ দিত। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় এখন আর সেই খরচ দেবে না। যে কারণে মোটরসাইকেলের পরিবর্তে বাইসাইকেলে চেপে অফিস করছি। অফিস থেকে সবাইকে বাইসাইকেল কিনে দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় অফিস বা নিকটতম জায়গায় যাতায়াতের জন্য অনেকেই মোটরসাইকেল পরিবর্তন করে ঝুঁকছেন পুরাতন সাইকেলের দিকে। অনেকেই বিকল্প বাহন হিসেবে কিনছেন বাইসাইকেল। পরিবেশবান্ধব এ বাহন আবারো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শহরের অলিগলিতে। আজকাল বিষয়টি সহজেই টের পাওয়া যাচ্ছে। তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, এখন মটরসাইকেল বাদ দিয়ে বাইসাইকেল না চালিয়ে কোনো উপায় নেই মন্তব্য করেছেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ইলেকট্রিশিয়ান ইদ্রিস। তিনি বলেন, যে কোনো বাহন থেকে বাইসাইকেল সবচেয়ে নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব। এছাড়া খরচ ও কম। যে কারণে ভাবছি একটা সাইকেল কিনব। শের-এ-বাংলা রোডের সাইকেল হাউজের মালিক জাহিদ বলেন, খুলনায় বাইসাইকেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাইসাইকেলের দামেও বিশাল পরিবর্তন এসেছে। আগের তুলনায় প্রতি সাইকেলে এক হাজার টাকা দাম বেড়েছে। খুলনা সাইক্লিস্টের অ্যাডমিন মো. মোস্তফা কামাল বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর মানুষের মধ্যে বাইসাইকেলের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। বাইসাইকেল চালানো একদিকে শরীরের জন্য যেমন ভালো, অন্যদিকে তেমন কোনো খরচও লাগে না। তিনি আরও বলেন, বাইসাইকেলের জন্য খুলনায় পৃথক লেন প্রয়োজন। অবকাঠামো এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হলে এতে মানুষের নিরাপদ যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি দুর্ঘটনা ও যানজট কমবে। যা বায়ুদূষণ হ্রাসসহ জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।