ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

বাইডেন আমলে চীনের সঙ্গে পেন্টাগনের প্রথম বৈঠক

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাতে গত শুক্রবার রয়টার্স জানায়, দুই দেশের মধ্যে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে সামনে রেখে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই চীনকে আটকানোর পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বেজিংয়ের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে এই শতাব্দীর ‘সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক পরীক্ষা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাইডেন প্রশাসন।
তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের সামরিক কর্মকা- ও চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার খর্বের অভিযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এশিয়ার এই পরাশক্তির সম্পর্কে টানাপোড়েন ক্রমেই বাড়ছে।
অবশ্য উত্তেজনা ও কড়া রাজনৈতিক ভাষ্য স্বত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকেই চীনের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার তাগিদ জানিয়ে আসছেন যাতে সম্ভাব্য সামরিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বা দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
চীন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল চেজ গত সপ্তাহে চীনের চীনের মেজর জেনারেল হুয়াং সুয়েপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সুয়েপিং চীনের সামরিক বাহিনীর (পিএলএ) আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা দপ্তরের দায়িত্বে আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন “(তারা) যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে স্থাপিত প্রতিরক্ষা টেলিফোন সংযোগ ব্যবহার করে একটি নিরাপদ ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেন। “দুই পক্ষই দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি উন্মুক্ত চ্যানেল বজায় রাখার বিষয়ে সম্মতি জানান।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন এখনও তার সমপর্যায়ের চীনা কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেননি, অংশত এর কারণ হচ্ছে চীনের কোন কর্মকর্তা আসলে অস্টিনের সমপর্যায়ের তা নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানায় এবং বেজিংয়ের সঙ্গে কোন ধরনের সংঘাত চায় না। তবে দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত সমুদ্রসীমার মতো বিষয়গুলোতে কথা বলবে ওয়াশিংটন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

বাইডেন আমলে চীনের সঙ্গে পেন্টাগনের প্রথম বৈঠক

আপডেট সময় : ১১:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাতে গত শুক্রবার রয়টার্স জানায়, দুই দেশের মধ্যে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে সামনে রেখে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই চীনকে আটকানোর পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বেজিংয়ের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে এই শতাব্দীর ‘সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক পরীক্ষা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাইডেন প্রশাসন।
তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের সামরিক কর্মকা- ও চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার খর্বের অভিযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এশিয়ার এই পরাশক্তির সম্পর্কে টানাপোড়েন ক্রমেই বাড়ছে।
অবশ্য উত্তেজনা ও কড়া রাজনৈতিক ভাষ্য স্বত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকেই চীনের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উন্মুক্ত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার তাগিদ জানিয়ে আসছেন যাতে সম্ভাব্য সামরিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বা দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
চীন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল চেজ গত সপ্তাহে চীনের চীনের মেজর জেনারেল হুয়াং সুয়েপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সুয়েপিং চীনের সামরিক বাহিনীর (পিএলএ) আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা দপ্তরের দায়িত্বে আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন “(তারা) যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে স্থাপিত প্রতিরক্ষা টেলিফোন সংযোগ ব্যবহার করে একটি নিরাপদ ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেন। “দুই পক্ষই দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি উন্মুক্ত চ্যানেল বজায় রাখার বিষয়ে সম্মতি জানান।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন এখনও তার সমপর্যায়ের চীনা কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেননি, অংশত এর কারণ হচ্ছে চীনের কোন কর্মকর্তা আসলে অস্টিনের সমপর্যায়ের তা নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানায় এবং বেজিংয়ের সঙ্গে কোন ধরনের সংঘাত চায় না। তবে দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত সমুদ্রসীমার মতো বিষয়গুলোতে কথা বলবে ওয়াশিংটন।