ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ঢাবির রাসেল ও আয়রনম্যান

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরাচ্ছেন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ বছরের লারিসাসহ ৭৯ সাঁতারু। এদের মধ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল সবার আগে সাঁতার শেষ করেছেন। আর মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাতও (আয়রনম্যান) সাতার শেষ করেছেন। তিনি অষ্টমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন।
সোমবার সকাল ১০টা ৪০মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে ৭৯ সাঁতারু সাঁতার শুরু করেন। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’ নামে সাঁতারের এ আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকার একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় আছেন তার মা।
ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হবে সে। কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লারিসা বলে, ‘একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি, আমি পারব। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবই সম্ভব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার সাঁতার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এবার সর্বোচ্চ ৭৯ সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন উপস্থিত হতে পারেননি। গত বছর ৪৩ সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ সফল হয়েছিলেন।
১০ বছরে লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় আছেন তার মা।
লিপটন সরকার বলেন, এ সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছেন। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ। সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ‘অবদান’ অস্বীকারেই নাখোশ ট্রাম্প

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ঢাবির রাসেল ও আয়রনম্যান

আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সাঁতরাচ্ছেন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ বছরের লারিসাসহ ৭৯ সাঁতারু। এদের মধ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল সবার আগে সাঁতার শেষ করেছেন। আর মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাতও (আয়রনম্যান) সাতার শেষ করেছেন। তিনি অষ্টমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন।
সোমবার সকাল ১০টা ৪০মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে ৭৯ সাঁতারু সাঁতার শুরু করেন। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’ নামে সাঁতারের এ আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকার একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় আছেন তার মা।
ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হবে সে। কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লারিসা বলে, ‘একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি, আমি পারব। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবই সম্ভব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার সাঁতার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এবার সর্বোচ্চ ৭৯ সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন উপস্থিত হতে পারেননি। গত বছর ৪৩ সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ সফল হয়েছিলেন।
১০ বছরে লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় আছেন তার মা।
লিপটন সরকার বলেন, এ সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছেন। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক সাঁতারু অংশ নিয়েছেন। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ। সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।