ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সম্প্রচার নিয়ে বড় জটিলতা!

  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে


ক্রীড়া প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কড়া নোটিশ- ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারাই বাংলাদেশে পা রাখবে, তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। সেই বাধ্যবোধকতায় সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমানের দেশে ফিরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
দেশের আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনা করলে এই আইন মানাও বিশেষ কর্তব্য। তবে অতীতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের অনুমতি নিয়ে ঐ নির্দেশ শিথিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশেষ করে জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফদের জন্য ১৪ দিনের বদলে সপ্তাহখানেকের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিশেষ অনুমতি নেয়া হয়েছে বারকয়েক।
তবে এবারের করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশ কঠোর। সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ভারত থেকে আসা যে কোনো যাত্রীর দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। এই কড়াকড়ি বহাল থাকলে চরম বিপাকে পড়ে যাবে বিসিবি।
নাহ, সাকিব-মোস্তাফিজের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলার কারণেই শুধু নয়। আরও একটি বিশেষ ও বাস্তবসম্মত কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই কড়া নির্দেশ শিথিলের আবেদন করতে হবে বিসিবিকে। কী সেই কারণ?
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সিরিজ, আসরের টিভি সম্প্রচার যে চ্যানেলই করুক না কেন, সকল টিভি তথা মিডিয়া ক্রু হলো ভারতীয়। সেটা জিটিভি, মাছরাঙা কিংবা টি স্পোর্টস; যারাই সম্প্রচার স্বত্ব নিক।
ক্যামেরা ক্রু থেকে শুরু করে সব টেকনিক্যাল ক্রু হলেন ভারতীয়। বাংলাদেশে এখনও ঐ সেটআপ তৈরি হয়নি। তাই সবসময় ভারতীয় ক্রুদের দিয়েই টিভিতে খেলা দেখানোর সমুদয় কারিগর বিষয়গুলো পরিচালনা করা হয়। তাদের সংখ্যাও কম নয়, প্রায় অর্ধশতাধিক।
সাধারণত ঐ সব ক্রু’রা খেলা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে এসে ক্যাবল বসানো থেকে শুরু করে সব কাজকর্ম সেরে ফেলেন। এবার যদি তারা আগের মতো তিন-চার দিন আগে আসেন, তাহলে কী করে হবে?
যেহেতু তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে দুই সপ্তাহ, তাই তাদের সিরিজ শুরুর অন্তত ১৭-১৮ দিন আগে এসে পৌঁছাতে হবে। আজ ৫ মে। ২৩ মে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। সেক্ষেত্রে ঐ ভারতীয় মিডিয়া ক্রুদের আজ-কালের ভেতর আসা ছাড়া পথ নেই।
কিন্তু এই ৫০ জনের বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থাও তো নেই। বিমান চলাচল বন্ধ। তাহলে তাদের চার্টার্ড ফ্লাইটে করে আনতে হবে এবং অন্তত তিন তারকা হোটেলে রেখে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। আনুমানিক প্রায় কোটি টাকার ধাক্কা। বিসিবি কিংবা যে চ্যানেল বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করবে, তারা কি ঐ বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করবে?
এ প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে। তাই ধরেই নেয়া হচ্ছে, বিসিবির সামনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে ছাড় আদায় করা ছাড়া পথ থাকবে না। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি সে অনুমতি দেবে? মানে দুই সপ্তাহের বদলে সপ্তাহখানেকের কোয়ারেন্টাইনের অনুমতি মিলবে? যদি না মেলে, তাহলে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ সম্প্রচারে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সম্প্রচার নিয়ে বড় জটিলতা!

আপডেট সময় : ১০:০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১


ক্রীড়া প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কড়া নোটিশ- ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারাই বাংলাদেশে পা রাখবে, তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। সেই বাধ্যবোধকতায় সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমানের দেশে ফিরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
দেশের আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনা করলে এই আইন মানাও বিশেষ কর্তব্য। তবে অতীতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের অনুমতি নিয়ে ঐ নির্দেশ শিথিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশেষ করে জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফদের জন্য ১৪ দিনের বদলে সপ্তাহখানেকের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিশেষ অনুমতি নেয়া হয়েছে বারকয়েক।
তবে এবারের করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশ কঠোর। সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ভারত থেকে আসা যে কোনো যাত্রীর দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। এই কড়াকড়ি বহাল থাকলে চরম বিপাকে পড়ে যাবে বিসিবি।
নাহ, সাকিব-মোস্তাফিজের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলার কারণেই শুধু নয়। আরও একটি বিশেষ ও বাস্তবসম্মত কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই কড়া নির্দেশ শিথিলের আবেদন করতে হবে বিসিবিকে। কী সেই কারণ?
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সিরিজ, আসরের টিভি সম্প্রচার যে চ্যানেলই করুক না কেন, সকল টিভি তথা মিডিয়া ক্রু হলো ভারতীয়। সেটা জিটিভি, মাছরাঙা কিংবা টি স্পোর্টস; যারাই সম্প্রচার স্বত্ব নিক।
ক্যামেরা ক্রু থেকে শুরু করে সব টেকনিক্যাল ক্রু হলেন ভারতীয়। বাংলাদেশে এখনও ঐ সেটআপ তৈরি হয়নি। তাই সবসময় ভারতীয় ক্রুদের দিয়েই টিভিতে খেলা দেখানোর সমুদয় কারিগর বিষয়গুলো পরিচালনা করা হয়। তাদের সংখ্যাও কম নয়, প্রায় অর্ধশতাধিক।
সাধারণত ঐ সব ক্রু’রা খেলা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে এসে ক্যাবল বসানো থেকে শুরু করে সব কাজকর্ম সেরে ফেলেন। এবার যদি তারা আগের মতো তিন-চার দিন আগে আসেন, তাহলে কী করে হবে?
যেহেতু তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে দুই সপ্তাহ, তাই তাদের সিরিজ শুরুর অন্তত ১৭-১৮ দিন আগে এসে পৌঁছাতে হবে। আজ ৫ মে। ২৩ মে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। সেক্ষেত্রে ঐ ভারতীয় মিডিয়া ক্রুদের আজ-কালের ভেতর আসা ছাড়া পথ নেই।
কিন্তু এই ৫০ জনের বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থাও তো নেই। বিমান চলাচল বন্ধ। তাহলে তাদের চার্টার্ড ফ্লাইটে করে আনতে হবে এবং অন্তত তিন তারকা হোটেলে রেখে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। আনুমানিক প্রায় কোটি টাকার ধাক্কা। বিসিবি কিংবা যে চ্যানেল বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করবে, তারা কি ঐ বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করবে?
এ প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে। তাই ধরেই নেয়া হচ্ছে, বিসিবির সামনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে ছাড় আদায় করা ছাড়া পথ থাকবে না। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি সে অনুমতি দেবে? মানে দুই সপ্তাহের বদলে সপ্তাহখানেকের কোয়ারেন্টাইনের অনুমতি মিলবে? যদি না মেলে, তাহলে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ সম্প্রচারে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।