ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দাঁড়িয়েছে, এটা বড় বিজয়’

  • আপডেট সময় : ০২:২২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে বাঙালিকে কাঁদতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘সেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর দাঁড়িয়েছে। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় বিজয়।’
গতকাল সোমবার বিআইডব্লিউটিএ’র মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকা-ে বুলেটের কাছে মানুষের আবেগকে বন্দি করে ফেলা হয়েছিল উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষকে কাঁদতে দেয়নি, প্রতিবাদ করতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট প্রতিবাদ হয়নি। প্রতিবাদ হয়েছে। পুরো বাংলাদেশ স্তম্ভিত হয়েছিল— এটি কি প্রতিবাদ নয়? টুঙ্গিপাড়ায় যখন বঙ্গবন্ধুকে যেনতেনভাবে মাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতকেরা, তখন বুলেটের সামনে প্রতিবাদের মুখে তারা বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ ইসলামিক মর্যাদায় দাফন করেছিল।’
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার জন্য এবং হত্যাকা-কে বৈধতা দেওয়ার জন্য জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ারা পারিবারিক হত্যাকা- বলেছে। এখনও সেটা তারা বলছে। তবে গত ৪৭ বছর ধরে তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চেয়ে কাহিনি বানিয়েছিল, কিন্তু একটি ঘটনাও প্রমাণ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যকে দুর্নীতিবাজ বানাতে পারেনি।’
জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকার মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রগতি ও আলোর পথে এগিয়েছিলাম, কিন্তু তারা উল্টো পথে দুর্নীতি ও লুটেরার দিকে নিয়ে গেছে। দারিদ্র্য থেকে দেশকে আরও দারিদ্র্য বানিয়েছে। কিছু লোক দারিদ্র্যকে বিক্রি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। জালিয়াতি দিয়ে কোনও কিছু করা যায় না-তা প্রমাণিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব সংকট বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে বলে দাবি করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তাবৎ দুনিয়ার সবাই যখন মাথায় ঘোমটা দিয়ে রেখেছিল, সেই সময় সাহসী উচ্চারণ হয়েছে শেখ হাসিনার মুখে। এটা কেউ করতে পারেনি। অনেকেই এতে আশ্চর্যও হয়েছিল। তারা বলেছিল, তিনি তার বিপদকে আলিঙ্গন করেছেন। তার জীবনে বিপদ আর কী হতে পারে। বাবা-মা, ভাইবোনসহ আপনজনদের হারিয়েছেন। তিনি কষ্ট চেপে রেখে প্রতিজ্ঞা করেছেন— বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। আরও বক্তব্য রাখেন— বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।
পরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী পরে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এবং নাবিক ও ঘাটকর্মীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দাঁড়িয়েছে, এটা বড় বিজয়’

আপডেট সময় : ০২:২২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে বাঙালিকে কাঁদতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘সেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর দাঁড়িয়েছে। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় বিজয়।’
গতকাল সোমবার বিআইডব্লিউটিএ’র মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকা-ে বুলেটের কাছে মানুষের আবেগকে বন্দি করে ফেলা হয়েছিল উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষকে কাঁদতে দেয়নি, প্রতিবাদ করতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট প্রতিবাদ হয়নি। প্রতিবাদ হয়েছে। পুরো বাংলাদেশ স্তম্ভিত হয়েছিল— এটি কি প্রতিবাদ নয়? টুঙ্গিপাড়ায় যখন বঙ্গবন্ধুকে যেনতেনভাবে মাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতকেরা, তখন বুলেটের সামনে প্রতিবাদের মুখে তারা বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ ইসলামিক মর্যাদায় দাফন করেছিল।’
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার জন্য এবং হত্যাকা-কে বৈধতা দেওয়ার জন্য জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ারা পারিবারিক হত্যাকা- বলেছে। এখনও সেটা তারা বলছে। তবে গত ৪৭ বছর ধরে তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চেয়ে কাহিনি বানিয়েছিল, কিন্তু একটি ঘটনাও প্রমাণ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যকে দুর্নীতিবাজ বানাতে পারেনি।’
জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকার মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রগতি ও আলোর পথে এগিয়েছিলাম, কিন্তু তারা উল্টো পথে দুর্নীতি ও লুটেরার দিকে নিয়ে গেছে। দারিদ্র্য থেকে দেশকে আরও দারিদ্র্য বানিয়েছে। কিছু লোক দারিদ্র্যকে বিক্রি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। জালিয়াতি দিয়ে কোনও কিছু করা যায় না-তা প্রমাণিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব সংকট বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে বলে দাবি করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তাবৎ দুনিয়ার সবাই যখন মাথায় ঘোমটা দিয়ে রেখেছিল, সেই সময় সাহসী উচ্চারণ হয়েছে শেখ হাসিনার মুখে। এটা কেউ করতে পারেনি। অনেকেই এতে আশ্চর্যও হয়েছিল। তারা বলেছিল, তিনি তার বিপদকে আলিঙ্গন করেছেন। তার জীবনে বিপদ আর কী হতে পারে। বাবা-মা, ভাইবোনসহ আপনজনদের হারিয়েছেন। তিনি কষ্ট চেপে রেখে প্রতিজ্ঞা করেছেন— বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। আরও বক্তব্য রাখেন— বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।
পরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী পরে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এবং নাবিক ও ঘাটকর্মীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।