ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে: তথ্য উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়াতেও এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এ অপপ্রচার শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে তার কাউন্টার দেয়ার জন্য এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য আমাদের সরকারসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, সবার মতামত নিয়েছি। গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে এই উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, বিগত রেজিমে সাংবাদিকদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সবার প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে যেন এ ধরনের পরিস্থিতি আর না হয়। আমরা সবাই মিলে যেন একটি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারি।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় পত্রিকার সম্পাদকরা বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়াতেও এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এ অপপ্রচার শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে তার কাউন্টার দেয়ার জন্য এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য আমাদের সরকারসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, সবার মতামত নিয়েছি। গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে এই উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, বিগত রেজিমে সাংবাদিকদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সবার প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে যেন এ ধরনের পরিস্থিতি আর না হয়। আমরা সবাই মিলে যেন একটি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারি।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় পত্রিকার সম্পাদকরা বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।