ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রীতি জিনতা!

  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বলিউডি অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। নিউজ ১৮ বলছে, এ ধরনের হামলার খবরে নায়িকা ‘ভেঙে পড়েছেন’। তিনি আশা করছেন অন্তর্র্বতী সরকার এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা নেবে’। এক্সে দেওয়া পোস্টে প্রীতি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে সহিংসতা হয়েছে তা দেখে আমি বিধ্বস্ত এবং ভেঙে পড়েছি। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ ঘর হারাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপাসনাল ভাঙচুর করা হচ্ছে। আশা করি নতুন সরকার এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে জনগণকে সুরক্ষা দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জন্য আমি উদ্বিগ্ন এবং প্রার্থনা করছি।” প্রীতি ছাড়াও হিন্দি সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী সোনু নিগম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা দিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতেও ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এই শিল্পী। সোনু নিগম বলেন, “তারা যাতে ভারতে এসে নিরাপদ জীবন পেতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
এছাড়া নব্বই দশকের অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হোক। বিশ্বনেতা এবং বিশেষ করে ভারতকে এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।” মানুষের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়ে রাভিনা বলেছেন “এখন চুপ করে থাকার সময় নয়।” চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনের রূপ নেওয়ার পর ঘটে যাওয়া সংঘাত-সহিংসতা নিয়ে বলিউডি শিল্পীদের মধ্যে প্রথম কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী সোনম কাপুর। ফেইসবুকে এই অভিনেত্রী বলেন, “এটা সত্যই বাংলাদেশে যা ঘটছে, খুবই ভয়ানক ঘটনা।“ এই নায়িকার ভাষ্য, “চলুন, সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করি।” এছাড়া দেশত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে অভিনেত্রী এবং সরকারদলীয় এমপি কঙ্গনা রানাউত এনডিটিভিকে বলেছেন, “ভারত আশপাশের সব মুসলিম রাষ্ট্রের প্রকৃত বন্ধুরাষ্ট্র।” কঙ্গনার ভাষ্য, “আমরা গর্বিত এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের একজন নেতা ভারতে সুরক্ষিত বোধ করেন।” ওই সময় অভিনেতা আদিল হুসেনও এক্সে লিখেছেন, “বাংলাদেশের সিনেমা ও ভিডিওগুলি সত্যিই হৃদয়বিদারক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষের উপর হামলার ঘটনা চমকে দেওয়ার মত।” হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অভিনয় শিল্পীদের পাশাপাশি কলকাতার বাংলা সিনেমার জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইধিকা পাল, শ্রীলেখা মিত্র, স্বস্তিকা মুখার্জি, দীপক অধিকারী দেবসহ আরো কয়েকজন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রীতি জিনতা!

আপডেট সময় : ১০:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বলিউডি অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। নিউজ ১৮ বলছে, এ ধরনের হামলার খবরে নায়িকা ‘ভেঙে পড়েছেন’। তিনি আশা করছেন অন্তর্র্বতী সরকার এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা নেবে’। এক্সে দেওয়া পোস্টে প্রীতি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে সহিংসতা হয়েছে তা দেখে আমি বিধ্বস্ত এবং ভেঙে পড়েছি। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ ঘর হারাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপাসনাল ভাঙচুর করা হচ্ছে। আশা করি নতুন সরকার এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে জনগণকে সুরক্ষা দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জন্য আমি উদ্বিগ্ন এবং প্রার্থনা করছি।” প্রীতি ছাড়াও হিন্দি সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী সোনু নিগম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা দিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতেও ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এই শিল্পী। সোনু নিগম বলেন, “তারা যাতে ভারতে এসে নিরাপদ জীবন পেতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
এছাড়া নব্বই দশকের অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হোক। বিশ্বনেতা এবং বিশেষ করে ভারতকে এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।” মানুষের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়ে রাভিনা বলেছেন “এখন চুপ করে থাকার সময় নয়।” চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনের রূপ নেওয়ার পর ঘটে যাওয়া সংঘাত-সহিংসতা নিয়ে বলিউডি শিল্পীদের মধ্যে প্রথম কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী সোনম কাপুর। ফেইসবুকে এই অভিনেত্রী বলেন, “এটা সত্যই বাংলাদেশে যা ঘটছে, খুবই ভয়ানক ঘটনা।“ এই নায়িকার ভাষ্য, “চলুন, সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করি।” এছাড়া দেশত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে অভিনেত্রী এবং সরকারদলীয় এমপি কঙ্গনা রানাউত এনডিটিভিকে বলেছেন, “ভারত আশপাশের সব মুসলিম রাষ্ট্রের প্রকৃত বন্ধুরাষ্ট্র।” কঙ্গনার ভাষ্য, “আমরা গর্বিত এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের একজন নেতা ভারতে সুরক্ষিত বোধ করেন।” ওই সময় অভিনেতা আদিল হুসেনও এক্সে লিখেছেন, “বাংলাদেশের সিনেমা ও ভিডিওগুলি সত্যিই হৃদয়বিদারক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষের উপর হামলার ঘটনা চমকে দেওয়ার মত।” হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অভিনয় শিল্পীদের পাশাপাশি কলকাতার বাংলা সিনেমার জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইধিকা পাল, শ্রীলেখা মিত্র, স্বস্তিকা মুখার্জি, দীপক অধিকারী দেবসহ আরো কয়েকজন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়।