ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে : মন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : গত ১৭ মে ছিল বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস। ‘এক্সিলারেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে।
করোনার কারণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব না হলেও এবছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির উদ্যোগে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাণী দিয়েছেন। আইটইউ এর মহাসচিব হাউলিন ঝাওও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন। এই উপলক্ষে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র চালু এবং টিঅ্যান্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। কৃষি ভিত্তিক এই ভূখ-ে লাঙ্গল জোয়াল ছাড়া আর কোন প্রযুক্তি ছিল না। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যান্ত্রিক যুগের শিল্পায়নেও যুক্ত ছিলাম না ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬-২০০১ ও গত ১২ বছরের বাংলাদেশ অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও মোবাইলে ক্লাস করছে উল্লেখ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল সক্ষমতার নজীর স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত এমনকি দুর্গম দ্বীপ, চর ও হাওরাঞ্চলে পর্যন্ত ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন আমরা করেছি। উইসিস এর সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৩ সালে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব সম্মেলনে তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। এমনকি পরবর্তি ফলোআপা সম্মেলনে পর্যন্ত অংশ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সেই ধাপ অতিক্রম করে ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং অ্যামটব চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ( আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ( আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে : মন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : গত ১৭ মে ছিল বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস। ‘এক্সিলারেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে।
করোনার কারণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব না হলেও এবছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির উদ্যোগে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাণী দিয়েছেন। আইটইউ এর মহাসচিব হাউলিন ঝাওও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন। এই উপলক্ষে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র চালু এবং টিঅ্যান্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। কৃষি ভিত্তিক এই ভূখ-ে লাঙ্গল জোয়াল ছাড়া আর কোন প্রযুক্তি ছিল না। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যান্ত্রিক যুগের শিল্পায়নেও যুক্ত ছিলাম না ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬-২০০১ ও গত ১২ বছরের বাংলাদেশ অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও মোবাইলে ক্লাস করছে উল্লেখ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল সক্ষমতার নজীর স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত এমনকি দুর্গম দ্বীপ, চর ও হাওরাঞ্চলে পর্যন্ত ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন আমরা করেছি। উইসিস এর সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৩ সালে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব সম্মেলনে তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। এমনকি পরবর্তি ফলোআপা সম্মেলনে পর্যন্ত অংশ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সেই ধাপ অতিক্রম করে ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং অ্যামটব চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ( আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ( আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।