নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের এ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলায়মানে কুলিবালি। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দেশটি ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে রয়েছে, কারণ বাংলাদেশ করোনা মহামারি সত্ত্বেও এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে”। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ছোটো উদ্যোগের ক্রমবিকাশ: প্রেক্ষিত জঅওঝঊ প্রকল্প’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জনমিতিক সুযোগ গ্রহণ করতে হলে ক্ষুদ্র উদ্যোগে বিনিয়োগ করা জরুরি। ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশে আর্থিক পরিষেবার পাশাপাশি অ-আর্থিক পরিষেবা যেমন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকা- বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিকেএসএফ পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. নমিতা হালদার বলেন, রেইজ প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়া মানুষের, বিশেষ করে তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
সভায় ‘বাংলাদেশে ছোটো উদ্যোগের বিকাশ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক উপস্থাপনায় পিকেএসএফ’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের দেশীয় ছোটো উদ্যোগের বিকাশে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রকল্পের ভূমিকা তুলে ধরেন।
এছাড়া, রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমেশন সেক্টর অর এমপ্লয়মেন্ট (রেইজ) প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) ও প্রকল্প সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার চক্রবর্তী। উপস্থাপনার ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম. এ. বাকী খলীলী। অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ের রেইজ প্রকল্পের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ।