নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে সাংবাদিকতাকে পুকুরে অনেকগুলো কুমির ছেড়ে দিয়ে সেই পুকুর সাঁতার কেটে পার হওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘প্রেস কাউন্সিল কী ও কেন’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও ডিআরইউ। সভায় দেওয়া বক্তব্যে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে সাংবাদিকতা হচ্ছে পুকুরের মধ্যে অনেকগুলো কুমির ছেড়ে দিয়ে বলা হলো, এপার থেকে ওপারে সাঁতার কেটে যাও। কিন্তু কুমিরের লেজের মধ্যেও পড়তে পারবা না, মুখেও পড়তে পারবা না। কারণ, লেজে পড়লেও বিপদ, মুখে পড়লেও বিপদ। আর এই কুমির হলো, কখনো ভূস্বামী, কখনো কালোবাজি, কখনো আইন, পুলিশ, রাষ্ট্র বা কখনো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, ছাত্রদল। কোন কুমিরের খপ্পরে পড়বেন, তা বলা মুশকিল। কিন্তু আপনি যদি ভালো সাঁতার জানেন তাহলে এগুলো এড়িয়ে যেতে পারবেন।
ভালো সাংবাদিকতার জন্য আইনকানুন এবং নিয়মনীতি জানার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এই সাংবাদিক নেতা।
সভায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন সাংবাদিকতা–সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অন্যান্য আদালতে যাওয়ার আগে প্রেস কাউন্সিলে আসা উচিত। এটিকে একান্ত ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করে এ নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি। বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এখন বছরে ৩০ থেকে ৪০টির মতো অভিযোগ আসে প্রেস কাউন্সিলে। মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর হয়তো সেটি ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সাংবাদিকতার মানকে আরও উঁচু স্তরে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এই বিচারপতি। ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. শাহ্ আলম, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। মতবিনিময় সভায় ডিআরইউর পক্ষ থেকে প্রেস কাউন্সিলে ডিআরইউর প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা হলো পুকুরে কুমির ছেড়ে সেখানে সাঁতার কাটতে বলা’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ