নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। কোনো একক ধর্মের মানুষই নয়, হিন্দু-মুসলিম সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট যেন না হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতি সংসদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য। বঙ্গবন্ধুকে বলা হয়েছিল ইসলামি প্রজাতন্ত্র করার জন্য কিন্তু তিনি করেননি। কারণ মুক্তিযোদ্ধটা সব ধর্মের মানুষই করেছে। অথচ সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য একটি ধর্মের মানুষের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সেইসঙ্গে সামাজিক যোগাাযোগমাধ্যমে যা-ই ঘটে তা যেন কেউ না জেনেই প্রচার না করি। তিনি বলেন, আমাদের কারণে ভারতের মুসলিমরা যেন হামলার শিকার না হয়। আবার তাদের দেশের কোনো ঘটনার জন্য আমাদের এখানে যেন কেউ হামলার শিকার না হয়। আমাদের যে সম্প্রীতির সম্পর্ক রয়েছে সেটা যেন নষ্ট না হয়। আমরা যেন সম্প্রীতির বন্ধন ধরে রাখি। সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. মমতাজ হোসেন বলেন, হিন্দু-মুসলিম সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। দেশটি স্বাধীন করেছিল। এরপরও যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না তারা দেশটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হোক তা চায়নি। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী ১৯৭১ থেকে এমন নানা ষড়যন্ত্র করেছে, এখনো করছে। আমরা যেন সোচ্চার থাকি। কোনো কিছু না বুঝে না জেনেই প্রচার না করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট যেন না হয়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জায়গায় হামলা, এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন আর না ঘটে সেটাই চাই। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. হারুন অর রশীদ। এতে সবাইকে একজোট হয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ঘটে যাওয়া অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও তা সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে থাকার অঙ্গীকার জানানো হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তৌসিফ, সহ-সভাপতি জিল্লুর রহিম দুলাল, কোষাধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, পার্থ সারথী দত্ত প্রমুখ।