নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ চার বছরের স্থবিরতা কাটিয়ে দেশের জাহাজ নির্মাণশিল্পে ফের সুদিন ফিরিয়ে এনেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে নতুন করে তুলে ধরে, এই বছরই তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) মোট ছয়টি জাহাজ রপ্তানি করতে চলেছে। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এই জাহাজগুলো দেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যোগ করছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে ইউএইর প্রতিষ্ঠান মারওয়ান অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি এলএলসির কাছে হস্তান্তর করা হবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে তৈরি ৩ জাহাজ। এগুলো হলো- মায়া, এসএমএস এমি ও মুনা। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর তীরে জাহাজগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
জাহাজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তিনটি জাহাজই সম্পূর্ণভাবে ইউএই-ভিত্তিক ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্মিত। এগুলো অফশোর সাপ্লাই, মালবাহী পরিবহন এবং সমুদ্রবাণিজ্যের বিভিন্ন কাজে ব্যবহারযোগ্য। আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পর জাহাজগুলো আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
ল্যান্ডিং ক্রাফট তিনটিরই দৈর্ঘ্য ৬৯ মিটার, প্রস্থ ১৬ মিটার এবং ড্রাফট ৩ মিটার। আন্তর্জাতিক ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিটাসের মানদণ্ড অনুযায়ী নির্মিত এবং ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। প্রায় ৭০০ বর্গমিটার ক্লিয়ার ডেক স্পেস থাকায় ভারী যন্ত্রপাতি ও বাল্ক কার্গো পরিবহনে উপযুক্ত।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি জাহাজের চাহিদা আবারো বাড়ছে। তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট হস্তান্তর আমাদের জন্য শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, পুরো দেশের জাহাজনির্মাণশিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।
এসি/আপ্র/২০/১১/২০২৫



















