ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ‘সীমাবদ্ধতা’ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানে

  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বয়স খুব বেশি দিনের নয় এবং এর ‘সীমাবদ্ধতা’ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নেতৃত্ব ভালো করে জানেন ও বোঝেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল (২৫ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোরের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ইমোন গিলমোর। তিনি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের বিষয়। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
ইইউ প্রাক-নির্বাচনি মিশন বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ছিল। আমি জানতে পেরেছি তারা প্রায় ৭৫টি বৈঠক করেছে এবং এরমধ্যে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ আরও অনেকে রয়েছে। আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই বলে তিনি জানান। ইমোন গিলমোর বলেন, আমরা জানি যে সামনে নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। সম্প্রতি ইইউ এক্সপ্লোরেটরি মিশন বাংলাদেশ সফর করেছে এবং তারা হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে এবং তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কিনা। শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা শুধু নির্বাচনের দিকে নয়, আরও অনেক কিছু বিবেচনা করি। এরমধ্যে রয়েছে অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ, রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিতে পারছে কিনা, গণমাধ্যমের অবস্থা, নির্বাচনের সামগ্রিক ব্যবস্থা বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমরা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতার জন্য, যেমন বাণিজ্য সুবিধা কীভাবে প্রণয়ন করা যায়। আমার মনে হয় আমরা যে নতুন স্তরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, সেখানকার ফোকাস হবে মানবাধিকার ও অর্থনীতি।
বাণিজ্য-সুবিধা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের গত ৫০ বছরে যে বলিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। ইইউর জিএসপি সুবিধা ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ ছিল, যা তারা ২০২৯ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একজন নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই মেয়াদ সব উন্নত দেশকে ২০৩২ পর্যন্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বলে তিনি জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ব্রাসেলসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন সংস্থাকে এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ‘সীমাবদ্ধতা’ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানে

আপডেট সময় : ০২:৪২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বয়স খুব বেশি দিনের নয় এবং এর ‘সীমাবদ্ধতা’ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নেতৃত্ব ভালো করে জানেন ও বোঝেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল (২৫ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোরের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ইমোন গিলমোর। তিনি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের বিষয়। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
ইইউ প্রাক-নির্বাচনি মিশন বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ছিল। আমি জানতে পেরেছি তারা প্রায় ৭৫টি বৈঠক করেছে এবং এরমধ্যে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ আরও অনেকে রয়েছে। আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই বলে তিনি জানান। ইমোন গিলমোর বলেন, আমরা জানি যে সামনে নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। সম্প্রতি ইইউ এক্সপ্লোরেটরি মিশন বাংলাদেশ সফর করেছে এবং তারা হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে এবং তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কিনা। শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা শুধু নির্বাচনের দিকে নয়, আরও অনেক কিছু বিবেচনা করি। এরমধ্যে রয়েছে অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ, রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিতে পারছে কিনা, গণমাধ্যমের অবস্থা, নির্বাচনের সামগ্রিক ব্যবস্থা বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমরা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতার জন্য, যেমন বাণিজ্য সুবিধা কীভাবে প্রণয়ন করা যায়। আমার মনে হয় আমরা যে নতুন স্তরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, সেখানকার ফোকাস হবে মানবাধিকার ও অর্থনীতি।
বাণিজ্য-সুবিধা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের গত ৫০ বছরে যে বলিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। ইইউর জিএসপি সুবিধা ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ ছিল, যা তারা ২০২৯ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একজন নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই মেয়াদ সব উন্নত দেশকে ২০৩২ পর্যন্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বলে তিনি জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ব্রাসেলসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন সংস্থাকে এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।