নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার পর থেকেই সিঙ্গাপুর উন্নয়নের সহযোগী হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। এই করোনাকালীন সময়েও দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে কাজ করছে। সিঙ্গাপুর অনেক আগ থেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এগ্রো বিজিনিসে, ফুড প্রসেসিং, আইটি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন সেক্টরে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সিংগাপুরের পরিবহন ও বাণিজ্য মন্ত্রী এস. ঈশ্বরণ। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উনয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও এন্টারপ্রাইস সিঙ্গাপুর আয়োজিত ‘স্পটলাইট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রম উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মত। যা সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন (এসবিএফ), এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর, সিঙ্গাপুর ফুড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসএফএমএ), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ বিজিনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিএইচএএম) এর যৌথ উদ্যোগে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রসূন মুখোপ্যাধ্যায় (এসবিএফ ভাইস- চেয়ারম্যান দক্ষিণ এশিয়া বিজনেস গ্রুপ) সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। ওয়েবিনারে বাংলাদেশ সিংগাপুরের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ কিছু ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ২০২১ এসডিজি বাস্তবায়ন, ২০৩১, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই আমরা আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ এক শ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, গভীর সমুদ্রবন্ধর নির্মাণ ও বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে নিরাপদ লাভজনক বিনিয়োগের অন্যতম ঠিকানা। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৩তম অর্থনীতির দেশ হলেও ২০৩০ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ রপ্তানিকারক দেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের অনত্যম সহযোগী। আগামীতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে । এসময়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ভিডিও প্রেজেন্টেশনের বাংলাদেশের ক্রম উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী এবং পুনঃবিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সেরা গন্তব্য। দিন দিন বিনিয়োগসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিডা। বর্তমানে আমরা বিনিয়োগকারীদের ওএসএস মাধ্যমে ১৫টি সংস্থার ৪৭টি সেবা দিয়ে আসছি। এবছরের মধ্যেই ৩৫টি সংস্থার ১৫৪ টি সেবা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সব সময় বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বিডা প্রস্তুত। এসময়ে তিনি প্যানেল ডিসকাশনের নেতৃত্ব দেন। প্যানেল ডিসকাশনে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ অনেকে অংশ্রগ্রহণ করেন। ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন চেম্বার্স অব কর্মাসের প্রতিনিধি ও দুই দেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।