ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের ৯ জনের দেহে ভারতে উদ্ভূত ধরন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • আপডেট সময় : ০১:১৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনে আক্রান্ত নয়জন বাংলাদেশে এখন পযন্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সন্দেহভাজন আক্রান্ত আরও কয়েকজনের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং চলছে। তা শেষ হলে সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সিডিসির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত নয়টি পেয়েছি একেবারে নিশ্চিত। তবে এখনও জেনোম সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল হাতে আসলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে।”
করোনাভাইরাসের এ ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরনটি। ভারতে প্রথম এ মিউট্যান্ট শনাক্ত হয়েছিল বলে একে ভারতীয় ধরন বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অন্তত ৪৪টি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনটি ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিকে চিহ্নিত করেছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ (ভিওসি) হিসেবে। প্রায় দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তার আনুষ্ঠানিক নাম বি.১.৬১৭। অতি সংক্রামক এই ধরনটিকে বিশ্বজুড়ে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।
ডা. নাজমুল বলেন, “ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। এ কারণে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
“অর্থাৎ সঠিকভাবে মাস্ক পরা, হাত জীবাণুমুক্ত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেলা করা- এই কাজগুলো আমাদের আরও বেশি করে মেনে চলতে হবে। অন্যদের তা করার জন্য আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আরও কঠোরভাবে পালন করতে হবে।”
ভারত থেকে আসা তিন বাংলাদেশির দেহে করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কথা গত ৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল। এরপর ১৬ মে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের নমুনা পরীক্ষা করে সর্বমোট ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ভারতীয় ধরনটি পাওয়ার কথা জানায় আইডিসিআর। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর খবরও জানানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের ৯ জনের দেহে ভারতে উদ্ভূত ধরন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ০১:১৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনে আক্রান্ত নয়জন বাংলাদেশে এখন পযন্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সন্দেহভাজন আক্রান্ত আরও কয়েকজনের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং চলছে। তা শেষ হলে সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সিডিসির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত নয়টি পেয়েছি একেবারে নিশ্চিত। তবে এখনও জেনোম সিকোয়েন্সিং চলছে। আমরা মনে করি জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল হাতে আসলে সংখ্যাটি বেড়ে যাবে।”
করোনাভাইরাসের এ ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরনটি। ভারতে প্রথম এ মিউট্যান্ট শনাক্ত হয়েছিল বলে একে ভারতীয় ধরন বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অন্তত ৪৪টি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনটি ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিকে চিহ্নিত করেছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ (ভিওসি) হিসেবে। প্রায় দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তার আনুষ্ঠানিক নাম বি.১.৬১৭। অতি সংক্রামক এই ধরনটিকে বিশ্বজুড়ে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।
ডা. নাজমুল বলেন, “ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। এ কারণে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
“অর্থাৎ সঠিকভাবে মাস্ক পরা, হাত জীবাণুমুক্ত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেলা করা- এই কাজগুলো আমাদের আরও বেশি করে মেনে চলতে হবে। অন্যদের তা করার জন্য আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আরও কঠোরভাবে পালন করতে হবে।”
ভারত থেকে আসা তিন বাংলাদেশির দেহে করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কথা গত ৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল। এরপর ১৬ মে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের নমুনা পরীক্ষা করে সর্বমোট ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ভারতীয় ধরনটি পাওয়ার কথা জানায় আইডিসিআর। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর খবরও জানানো হয়।