ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্বিবেচনার কোনও ইঙ্গিত নেই: আদানি

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি এই মন্তব্য করে। এর এক দিন আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির মূল্য কমানোর চেষ্টা করছে অথবা চুক্তি বাতিল করতে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হাইকোর্ট গত সপ্তাহে আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের এই বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ২ বিলিয়ন ডলারের কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি বর্তমানে মার্কিন কর্তৃপক্ষের একটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। ওই মামলায় তাকে ভারতে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের একটি ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ইতোমধ্যে আদানি গ্রুপের অন্যান্য বিদ্যুৎ চুক্তি ভারতের একটি রাজ্যে পুনর্বিবেচনার মুখে পড়েছে এবং ফ্রান্সের টোটালএনার্জি তাদের বিনিয়োগ স্থগিত করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গ্রুপের চুক্তিটি ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি সংস্থার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। শেখ হাসিনা চলতি বছর গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে তারা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছে। আগস্টের শুরুর দিকে সরবরাহ ১ হাজার ৪০০-১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট থেকে কমে ৭০০-৭৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, বকেয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তবে আদানি পাওয়ার এখনও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্বিবেচনার কোনও ইঙ্গিত নেই: আদানি

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি এই মন্তব্য করে। এর এক দিন আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির মূল্য কমানোর চেষ্টা করছে অথবা চুক্তি বাতিল করতে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হাইকোর্ট গত সপ্তাহে আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের এই বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ২ বিলিয়ন ডলারের কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি বর্তমানে মার্কিন কর্তৃপক্ষের একটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। ওই মামলায় তাকে ভারতে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের একটি ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ইতোমধ্যে আদানি গ্রুপের অন্যান্য বিদ্যুৎ চুক্তি ভারতের একটি রাজ্যে পুনর্বিবেচনার মুখে পড়েছে এবং ফ্রান্সের টোটালএনার্জি তাদের বিনিয়োগ স্থগিত করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গ্রুপের চুক্তিটি ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি সংস্থার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। শেখ হাসিনা চলতি বছর গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে তারা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছে। আগস্টের শুরুর দিকে সরবরাহ ১ হাজার ৪০০-১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট থেকে কমে ৭০০-৭৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, বকেয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তবে আদানি পাওয়ার এখনও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে।