প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে বরাদ্দ ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের (৩৫১ কোটি টাকা প্রায়) সহায়তা তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসনের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)।
বাংলাদেশের পাশাপাশি এদিন আরও কয়েকটি দেশের জন্য নির্ধারিত বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করেছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন নতুন দপ্তরটি। এর মধ্যে ভারতের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের একটি কর্মসূচিও রয়েছে। দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিক সহায়তা খাতে ব্যাপক কাটছাঁট করছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের জন্য বরাদ্দ সহায়তা তহবিল বাতিল করা হয়েছে।
ডিওজিইর ঘোষণায় বলা হয়েছে, মার্কিন করদাতাদের অর্থ ব্যয়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রকল্প বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১। মোজাম্বিকে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা মাধ্যমে পুরুষদের খতনা প্রকল্পে এক কোটি ডলার।
২। কম্বোডিয়ার তরুণদের ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়নে ৯৭ লাখ ডলার এবং বাকস্বাধীনতা শক্তিশালী করতে ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।
৩। চেক প্রজাতন্ত্রে প্রাগ সিভিল সোসাইটি সেন্টারের জন্য ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।
৪। নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও নারী ক্ষমতায়ন কেন্দ্র স্থাপনে ৪ কোটি ডলার।
৫। সার্বিয়ার সরকারি কেনাকাটা ব্যবস্থার উন্নয়নে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
৬। নির্বাচনী কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মলদোভার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য ২ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ ছিল।
৭। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণ কর্মসূচিতে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
৮। নেপালে রাজস্ব ব্যবস্থা ও রাজ্য পরিচালনা পদ্ধতি উন্নত করতে ২ কোটি ডলার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
৯। লাইবেরিয়ায় ভোটারদের আস্থার জন্য ১৫ লাখ ডলার।
১০। মালির সামাজিক সম্প্রীতির উন্নয়নে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
১১। দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে ২৫ লাখ ডলার।
১২। এশিয়ায় শিখন দক্ষতা উন্নয়নে ৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
১৩। কসোভোর রোমা, আশকালি ও মিশরীয় সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক সংহতি বাড়াতে টেকসই পুনর্ব্যবহারযোগ্য মডেল তৈরিতে ২০ লাখ ডলার।
এসব প্রকল্প বাতিল করায় বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে বলে বিশ্বাস করে মার্কিন প্রশাসন।
