ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা পাকিস্তানের

  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ১৭ বছর পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে। আগামী মে মাসে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এই সফরে সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদের ঐতিহাসিক ইকবাল স্টেডিয়ামে, যা ২৫ ও ২৭ মে নির্ধারিত রয়েছে। এটি হবে ফয়সালাবাদে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের ঘটনা। ইতিপূর্বে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ২৪টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই মাঠে কখনও টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলা হয়নি। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের মাধ্যমে এই ভেন্যু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক করতে যাচ্ছে।

বাকি তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের পুনর্গঠিত গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে—৩০ মে, ১ জুন এবং ৩ জুন। সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে রাত ৮টায়, যা গ্রীষ্মকালীন খরতাপে কিছুটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশে খেলা পরিচালনার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম পুনর্র্নিমাণের পর এটিই হবে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর প্রায় এক দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তানে বন্ধ ছিল। সেই অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর এটি হবে পাকিস্তানের পঞ্চম শহর হিসেবে ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার উপলক্ষ। ইতোমধ্যে লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি, করাচি ও মুলতানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ মূলত একটি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হিসেবে নির্ধারিত ছিল। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডেগুলো বাদ দিয়ে দুটি অতিরিক্ত টি-টোয়েন্টি যোগ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে পা রাখবে ২১ মে। শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। এরপর আগামী জুলাই মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে ফিরতি সিরিজ, যেখানে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনো ফিরতি সিরিজের সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। এই সিরিজটি পাকিস্তানের ২০২৪-২৫ মৌসুমের এক দীর্ঘ ও ব্যস্ত হোম সিজনের অংশ। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হয় এই মৌসুম, এরপর একে একে নানা সিরিজের মধ্য দিয়ে এখন মে মাসে এসে পৌঁছেছে।

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পরপরই শুরু হবে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। পিএসএল শেষ হবে ১৮ মে, আর বাংলাদেশ সিরিজ শুরু হবে ২৫ মে থেকে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বর্তমানে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছে। এই সিরিজ শেষেই তারা রওনা হবে পাকিস্তান সফরের জন্য। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এই সিরিজে উভয় দলের জন্যই বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াড চূড়ান্ত করার একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ দল এই সফরে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে বলেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাটিং অর্ডারে বিকল্প অপশন ও বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে পাকিস্তান দল হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সিরিজ নিয়ে উভয় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা।

দীর্ঘদিন পর ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ায় স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নতুন রূপেও নজর থাকবে সবার। সার্বিকভাবে, এই সিরিজটি শুধুমাত্র দুই দলের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি পাকিস্তানের ক্রিকেট সংস্কৃতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি চিত্রও তুলে ধরবে। একইসঙ্গে, ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ হয়ে উঠতে পারে এই সিরিজ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে মুরগির

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ১৭ বছর পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে। আগামী মে মাসে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এই সফরে সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদের ঐতিহাসিক ইকবাল স্টেডিয়ামে, যা ২৫ ও ২৭ মে নির্ধারিত রয়েছে। এটি হবে ফয়সালাবাদে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের ঘটনা। ইতিপূর্বে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ২৪টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই মাঠে কখনও টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলা হয়নি। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের মাধ্যমে এই ভেন্যু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক করতে যাচ্ছে।

বাকি তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের পুনর্গঠিত গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে—৩০ মে, ১ জুন এবং ৩ জুন। সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে রাত ৮টায়, যা গ্রীষ্মকালীন খরতাপে কিছুটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশে খেলা পরিচালনার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম পুনর্র্নিমাণের পর এটিই হবে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর প্রায় এক দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তানে বন্ধ ছিল। সেই অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর এটি হবে পাকিস্তানের পঞ্চম শহর হিসেবে ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার উপলক্ষ। ইতোমধ্যে লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি, করাচি ও মুলতানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ মূলত একটি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হিসেবে নির্ধারিত ছিল। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডেগুলো বাদ দিয়ে দুটি অতিরিক্ত টি-টোয়েন্টি যোগ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে পা রাখবে ২১ মে। শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। এরপর আগামী জুলাই মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে ফিরতি সিরিজ, যেখানে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনো ফিরতি সিরিজের সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। এই সিরিজটি পাকিস্তানের ২০২৪-২৫ মৌসুমের এক দীর্ঘ ও ব্যস্ত হোম সিজনের অংশ। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হয় এই মৌসুম, এরপর একে একে নানা সিরিজের মধ্য দিয়ে এখন মে মাসে এসে পৌঁছেছে।

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পরপরই শুরু হবে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। পিএসএল শেষ হবে ১৮ মে, আর বাংলাদেশ সিরিজ শুরু হবে ২৫ মে থেকে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বর্তমানে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছে। এই সিরিজ শেষেই তারা রওনা হবে পাকিস্তান সফরের জন্য। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এই সিরিজে উভয় দলের জন্যই বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াড চূড়ান্ত করার একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ দল এই সফরে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে বলেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাটিং অর্ডারে বিকল্প অপশন ও বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে পাকিস্তান দল হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সিরিজ নিয়ে উভয় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা।

দীর্ঘদিন পর ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ায় স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের নতুন রূপেও নজর থাকবে সবার। সার্বিকভাবে, এই সিরিজটি শুধুমাত্র দুই দলের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি পাকিস্তানের ক্রিকেট সংস্কৃতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি চিত্রও তুলে ধরবে। একইসঙ্গে, ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ হয়ে উঠতে পারে এই সিরিজ।