ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল

  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার। জানা গেছে, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে, গার্মেন্টস খাতের ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড। (সিবিআইসি)। ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশে সহজে পণ্য পাঠাতে পারতো। এখন সেই সুবিধা বাতিল করলো মোদী সরকার। তবে যে পণ্য এরই মধ্যে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তা আগের নিয়মেই বেরিয়ে যেতে পারবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই ও টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গার্মেন্টস খাতের ভারতীয় রফতানিকারকেরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা অভিযোগ করছিলেন, প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রাক বাংলাদেশ থেকে দিল্লি বিমানবন্দর কার্গো টার্মিনালে প্রবেশ করে, যার ফলে ভারতীয় পণ্যের রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। বিমান সংস্থাগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে ও কার্গো প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে, যার ফলে ভারতীয় পণ্যের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ভারতের অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশোন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বলেন, দিল্লির কার্গো টার্মিনালে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে জটলা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে প্লেন ভাড়ার হার বেড়েছে, রফতানি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বিলম্ব হচ্ছে ও ভারতীয় রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয় সাহাই জানান, বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় রফতানিকারকেরা উপকৃত হবেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস, চামড়া ও অলংকার খাতে। এখন ভারতের রফতানি পণ্যের জন্য বিমানে বেশি জায়গা পাওয়া যাবে, যা আগে বাংলাদেশি পণ্য দখল করে রাখতো। এদিকে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভারতের পরিবর্তে মালদ্বীপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে টেক্সটাইল পণ্য রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ। তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছিল, এই পরিবর্তন ভারতের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কার্গো আয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেসময় বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে ভারতীয় রফতানিকারকদের চাপের বিষয়টি সামনে এসেছিল। সেসময় অ্যাসোসিয়েশন অব মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স অব ইন্ডিয়ার সভাপতি অরুণ কুমার বলেছিলেন, পোশাক শিল্পের সময়ানুবর্তিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট মৌসুমের পোশাক সময়মতো না পৌঁছালে সেই চালান বাতিল হতে পারে। মালদ্বীপের মাধ্যমে রফতানি বাংলাদেশকে কৌশলগত সুবিধা দিচ্ছে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলায় আরো নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করছে। অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের পূর্ব অঞ্চলের নির্বাহী সদস্য অনিল বুচাসিয়া বলেছিলেন, এতে পড়ার মতো কিছু নেই। ভারতীয় বিমানবন্দরগুলো ভারতীয় বিমানবন্দরগুলো এমনিতেই ভীষণ ব্যস্ত। আমরাও চেয়েছিলাম বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্য যেন আমাদের বিমানবন্দর ব্যবহার না করে। সূত্র: পিটিআই, টেলিগ্রাফ, মিন্ট

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল

আপডেট সময় : ০৯:০৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার। জানা গেছে, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে, গার্মেন্টস খাতের ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড। (সিবিআইসি)। ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশে সহজে পণ্য পাঠাতে পারতো। এখন সেই সুবিধা বাতিল করলো মোদী সরকার। তবে যে পণ্য এরই মধ্যে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তা আগের নিয়মেই বেরিয়ে যেতে পারবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই ও টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গার্মেন্টস খাতের ভারতীয় রফতানিকারকেরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা অভিযোগ করছিলেন, প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রাক বাংলাদেশ থেকে দিল্লি বিমানবন্দর কার্গো টার্মিনালে প্রবেশ করে, যার ফলে ভারতীয় পণ্যের রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। বিমান সংস্থাগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে ও কার্গো প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে, যার ফলে ভারতীয় পণ্যের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ভারতের অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশোন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বলেন, দিল্লির কার্গো টার্মিনালে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে জটলা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে প্লেন ভাড়ার হার বেড়েছে, রফতানি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বিলম্ব হচ্ছে ও ভারতীয় রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয় সাহাই জানান, বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় রফতানিকারকেরা উপকৃত হবেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস, চামড়া ও অলংকার খাতে। এখন ভারতের রফতানি পণ্যের জন্য বিমানে বেশি জায়গা পাওয়া যাবে, যা আগে বাংলাদেশি পণ্য দখল করে রাখতো। এদিকে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভারতের পরিবর্তে মালদ্বীপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে টেক্সটাইল পণ্য রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ। তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে বলেছিল, এই পরিবর্তন ভারতের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কার্গো আয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেসময় বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে ভারতীয় রফতানিকারকদের চাপের বিষয়টি সামনে এসেছিল। সেসময় অ্যাসোসিয়েশন অব মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স অব ইন্ডিয়ার সভাপতি অরুণ কুমার বলেছিলেন, পোশাক শিল্পের সময়ানুবর্তিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট মৌসুমের পোশাক সময়মতো না পৌঁছালে সেই চালান বাতিল হতে পারে। মালদ্বীপের মাধ্যমে রফতানি বাংলাদেশকে কৌশলগত সুবিধা দিচ্ছে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলায় আরো নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করছে। অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের পূর্ব অঞ্চলের নির্বাহী সদস্য অনিল বুচাসিয়া বলেছিলেন, এতে পড়ার মতো কিছু নেই। ভারতীয় বিমানবন্দরগুলো ভারতীয় বিমানবন্দরগুলো এমনিতেই ভীষণ ব্যস্ত। আমরাও চেয়েছিলাম বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্য যেন আমাদের বিমানবন্দর ব্যবহার না করে। সূত্র: পিটিআই, টেলিগ্রাফ, মিন্ট