ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জনগণ জানতে চায়: গয়েশ্বর

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমাদের নির্বাচনে পাস করিয়ে দেবেন, তা নয়, গণতন্ত্রের প্রশ্নে সুস্পষ্ট অবস্থান নেবেন কি না, তা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়।’
গতকাল সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। গত ১৪ মে চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ছাত্রদলের নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিএনপি-সমর্থিত নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাসহ এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা দিল্লিতে খবর পাঠান, জনগণের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে শিখুন। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, তার পাশে বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিহীন; যার জন্য এ দেশের জনগণ ভারতকে দায়ী করে-এ কথা স্পষ্ট করে বলে দিলাম।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘ভারত সরকার, ভারতের রাজনীতিবিদদের বলেন, বন্ধুত্ব কি শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন, বন্ধুত্ব কি শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে করবেন; নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি ভারতের বন্ধুত্ব হয়, সেটা হলো প্রকৃত বন্ধুত্ব, সেটা মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই হবে। নতুবা একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটা রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটা রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব থাকবে। কিন্তু এই সরকার তো বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলে দিয়েছে, প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব স্বামী-স্ত্রীর মতো। স্বামী-স্ত্রী আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এক নয়। আমরাও তো ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব আমাদের দরকার। ঝগড়াঝাঁটি আমাদের চলে না। আমাদের যদি প্রভুত্ব বা স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা দেয়, সেই বন্ধুত্ব তো কাম্য নয়।’
মানববন্ধন থেকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে। হ্যাঁ, বিএনপি নির্বাচনে যাবে; তবে কোনো ভোটডাকাত এবং ভোটচোরদের ক্ষমতরেখে নয়।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও দলের স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলীর পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শিরীন সুলতানা প্রমুখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জনগণ জানতে চায়: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমাদের নির্বাচনে পাস করিয়ে দেবেন, তা নয়, গণতন্ত্রের প্রশ্নে সুস্পষ্ট অবস্থান নেবেন কি না, তা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়।’
গতকাল সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। গত ১৪ মে চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ছাত্রদলের নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিএনপি-সমর্থিত নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম এ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাসহ এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা দিল্লিতে খবর পাঠান, জনগণের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে শিখুন। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, তার পাশে বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিহীন; যার জন্য এ দেশের জনগণ ভারতকে দায়ী করে-এ কথা স্পষ্ট করে বলে দিলাম।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘ভারত সরকার, ভারতের রাজনীতিবিদদের বলেন, বন্ধুত্ব কি শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন, বন্ধুত্ব কি শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে করবেন; নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি ভারতের বন্ধুত্ব হয়, সেটা হলো প্রকৃত বন্ধুত্ব, সেটা মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই হবে। নতুবা একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটা রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটা রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব থাকবে। কিন্তু এই সরকার তো বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলে দিয়েছে, প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব স্বামী-স্ত্রীর মতো। স্বামী-স্ত্রী আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এক নয়। আমরাও তো ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব আমাদের দরকার। ঝগড়াঝাঁটি আমাদের চলে না। আমাদের যদি প্রভুত্ব বা স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা দেয়, সেই বন্ধুত্ব তো কাম্য নয়।’
মানববন্ধন থেকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে। হ্যাঁ, বিএনপি নির্বাচনে যাবে; তবে কোনো ভোটডাকাত এবং ভোটচোরদের ক্ষমতরেখে নয়।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও দলের স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলীর পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শিরীন সুলতানা প্রমুখ।