ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ পরিকল্পনা বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত’

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ পরিকল্পনা বা হালনাগাদ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, এ পরিকল্পনা বৈশ্বিক উষ্ণতাকে প্রাক-শিল্প স্তরের ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বৈশ্বিক উদ্যোগকে সমর্থন করবে। এতে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতায় ও উন্নত বিশ্বের সহযোগিতায় মোট ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রশমন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। যা দেশের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশের আপডেটেড এনডিসি ২০২১ ডিসেমিনেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/এজেন্সি বা সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমেই আমাদের এ এনডিসি বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া এবং সমন্বয় করবে। এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি নি¤œ-কার্বন, জলবায়ু-সহনশীল উচ্চ-মধ্য আয়ের অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামোর (ইউএনএফসিসি) আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে প্রণীত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা ২০৩০ সাল নাগাদ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইন্টেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (আই-এনডিসি) পরিকল্পনা পেশ করে। বাংলাদেশ সরকার দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী দলিলসমূহে এরইমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানোর বিষয়সমূহ সন্নিবেশিত করেছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ এই এনডিসির হালনাগাদ সম্পন্ন করেছে। শুধুমাত্র উন্নত বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বিশদ পরিকল্পনা এবং কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে দেশে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং সেন্টার ফর অ্যানভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান। এছাড়াও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ পরিকল্পনা বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত’

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ পরিকল্পনা বা হালনাগাদ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, এ পরিকল্পনা বৈশ্বিক উষ্ণতাকে প্রাক-শিল্প স্তরের ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বৈশ্বিক উদ্যোগকে সমর্থন করবে। এতে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতায় ও উন্নত বিশ্বের সহযোগিতায় মোট ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রশমন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। যা দেশের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশের আপডেটেড এনডিসি ২০২১ ডিসেমিনেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/এজেন্সি বা সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমেই আমাদের এ এনডিসি বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া এবং সমন্বয় করবে। এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি নি¤œ-কার্বন, জলবায়ু-সহনশীল উচ্চ-মধ্য আয়ের অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামোর (ইউএনএফসিসি) আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে প্রণীত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা ২০৩০ সাল নাগাদ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইন্টেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (আই-এনডিসি) পরিকল্পনা পেশ করে। বাংলাদেশ সরকার দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী দলিলসমূহে এরইমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানোর বিষয়সমূহ সন্নিবেশিত করেছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ এই এনডিসির হালনাগাদ সম্পন্ন করেছে। শুধুমাত্র উন্নত বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বিশদ পরিকল্পনা এবং কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে দেশে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্ট্যাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং সেন্টার ফর অ্যানভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান। এছাড়াও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন।