ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যা বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থল ও সমুদ্র সীমানা টহল দেওয়ার সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের। এছাড়া বিমানবন্দরে কার্গো ও যাত্রীদের পরীক্ষা করার জন্য আধুনিক যন্ত্রাংশ ও লোকবল বাড়ানো করেছে।
গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেরোরিজম ২০২১’-এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে তিনটি উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে এবং এগুলো প্রতিরোধ করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে একটি ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একটি মার্কিন রিমোট-কন্ট্রোলড রোবট দিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করেছিল।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১৭ মে এবং ১১ জুলাই নারায়ণগঞ্জে দুটি ঘটনা ঘটে। এছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান ডিপ্লোমেটিক অঞ্চলে দেলোয়ার হোসেন নামক এক ব্যক্তি একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। ওই ‘সন্ত্রাসী’ মনে করেছিল সে একটি মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মেরেছে এবং তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ২০২১ সালে ৪০টি তদন্ত করেছে এবং ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, অন্যদিকে চট্টগ্রাম পুলিশ ৪০টি ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। অ্যান্টি টোরোরিজম ইউনিট তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং ধারণা করা হয় তারা প্রায় ৭৫টি মামলার তদন্ত করেছে। রিপোর্টে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই সময়ে ১০ জন সন্ত্রাসীকে ভালো পথে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সিটিটিসি এবং তাদের প্রত্যেককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা কারিকুলামে আধুনিকায়ন এনেছে সরকার এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে পুলিশ। সাতটি অ্যান্টি টেরোরিজম ট্রাইবুন্যালে ৭০০টি মতো মামলা রয়েছে। আটটি সাইবার ট্রাইবুন্যালে ৪ হাজার ৬০০ এর মতো মামলা বিচারাধীন আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যা বলা হয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে

আপডেট সময় : ০২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থল ও সমুদ্র সীমানা টহল দেওয়ার সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের। এছাড়া বিমানবন্দরে কার্গো ও যাত্রীদের পরীক্ষা করার জন্য আধুনিক যন্ত্রাংশ ও লোকবল বাড়ানো করেছে।
গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেরোরিজম ২০২১’-এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে তিনটি উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে এবং এগুলো প্রতিরোধ করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে একটি ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একটি মার্কিন রিমোট-কন্ট্রোলড রোবট দিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করেছিল।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১৭ মে এবং ১১ জুলাই নারায়ণগঞ্জে দুটি ঘটনা ঘটে। এছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান ডিপ্লোমেটিক অঞ্চলে দেলোয়ার হোসেন নামক এক ব্যক্তি একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। ওই ‘সন্ত্রাসী’ মনে করেছিল সে একটি মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মেরেছে এবং তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ২০২১ সালে ৪০টি তদন্ত করেছে এবং ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, অন্যদিকে চট্টগ্রাম পুলিশ ৪০টি ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। অ্যান্টি টোরোরিজম ইউনিট তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং ধারণা করা হয় তারা প্রায় ৭৫টি মামলার তদন্ত করেছে। রিপোর্টে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই সময়ে ১০ জন সন্ত্রাসীকে ভালো পথে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সিটিটিসি এবং তাদের প্রত্যেককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা কারিকুলামে আধুনিকায়ন এনেছে সরকার এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে পুলিশ। সাতটি অ্যান্টি টেরোরিজম ট্রাইবুন্যালে ৭০০টি মতো মামলা রয়েছে। আটটি সাইবার ট্রাইবুন্যালে ৪ হাজার ৬০০ এর মতো মামলা বিচারাধীন আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।