ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর করোনা প্রতিরোধী স্প্রে

  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। করোনা শনাক্ত হচ্ছে লাখ লাখ লোকের। তবে এই করোনা প্রতিরোধে আবিষ্কার করা হয়েছে এক ধরনের স্প্রে। আর জীবাণুনাশক এই স্প্রে আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণ ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। ওই বিজ্ঞানীর নাম সাদিয়া খানম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী সাদিয়া খানম দেড় বছর ধরে গবেষণার পর ভলটিক নামের এই জীবাণুনাশক স্প্রে তৈরি করেছেন। যেকোনো বস্তুর ওপর এই স্প্রে করা হলে তা দুই সপ্তাহের জন্য জীবাণুমুক্ত থাকবে।
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএস বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এটিকে অনুমোদন দিয়েছে। করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্েয এই উদ্ভাবনকে বড় ধরনের আবিষ্কার বলে তারা উল্লেখ করেছে।
ব্রিটেনে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলে সাদিয়া খানম তার পিএইচডি গবেষণা স্থগিত রেখে উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডের চেশায়ারে তার বাবার রেস্তোরাঁয় এই ভাইরাসটি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা শুরু করেন। করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য তিনি নানা রকমের সমীকরণের সন্ধান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এরকম একটি কার্যকরী ইকুয়েশন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন। বিশেষ একটি মেশিন দিয়ে এই তরল স্প্রে করতে হয়।
সাদিয়া খানম বলেন, ‘এই জীবাণুনাশ প্রক্রিয়ার একটি অংশ হচ্ছে- কোনো জীবাণু যদি কোনো কিছুর সংস্পর্শে আসে তখন তাকে ধ্বংস করে ফেলা। অর্থাৎ কোনো কিছুর পৃষ্ঠ বা সারফেসের ওপর যদি কোনো ভাইরাস থাকে, এর সাহায্যে তাকে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলা যায়।’
এটি চামড়া থেকে শুরু করে কাঠ, লোহা থেকে কাপড়- সব ধরনের সারফেসের ওপর কাজ করে বলে গবেষণায় তিনি দেখতে পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘ভলটিক স্প্রে ব্যবহার করলে সব ধরনের সারফেস যেহেতু দীর্ঘ সময়ের জন্য জীবাণুমুক্ত থাকবে, সেকারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে যতো অর্থ ও সময় খরচ হয় তার তুলনায় এই স্প্রে অনেক সাশ্রয়ী হবে।’
সাদিয়া খানম স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনোমিক মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর করোনা প্রতিরোধী স্প্রে

আপডেট সময় : ১২:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। করোনা শনাক্ত হচ্ছে লাখ লাখ লোকের। তবে এই করোনা প্রতিরোধে আবিষ্কার করা হয়েছে এক ধরনের স্প্রে। আর জীবাণুনাশক এই স্প্রে আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণ ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। ওই বিজ্ঞানীর নাম সাদিয়া খানম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী সাদিয়া খানম দেড় বছর ধরে গবেষণার পর ভলটিক নামের এই জীবাণুনাশক স্প্রে তৈরি করেছেন। যেকোনো বস্তুর ওপর এই স্প্রে করা হলে তা দুই সপ্তাহের জন্য জীবাণুমুক্ত থাকবে।
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএস বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এটিকে অনুমোদন দিয়েছে। করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্েয এই উদ্ভাবনকে বড় ধরনের আবিষ্কার বলে তারা উল্লেখ করেছে।
ব্রিটেনে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলে সাদিয়া খানম তার পিএইচডি গবেষণা স্থগিত রেখে উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডের চেশায়ারে তার বাবার রেস্তোরাঁয় এই ভাইরাসটি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা শুরু করেন। করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য তিনি নানা রকমের সমীকরণের সন্ধান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এরকম একটি কার্যকরী ইকুয়েশন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন। বিশেষ একটি মেশিন দিয়ে এই তরল স্প্রে করতে হয়।
সাদিয়া খানম বলেন, ‘এই জীবাণুনাশ প্রক্রিয়ার একটি অংশ হচ্ছে- কোনো জীবাণু যদি কোনো কিছুর সংস্পর্শে আসে তখন তাকে ধ্বংস করে ফেলা। অর্থাৎ কোনো কিছুর পৃষ্ঠ বা সারফেসের ওপর যদি কোনো ভাইরাস থাকে, এর সাহায্যে তাকে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলা যায়।’
এটি চামড়া থেকে শুরু করে কাঠ, লোহা থেকে কাপড়- সব ধরনের সারফেসের ওপর কাজ করে বলে গবেষণায় তিনি দেখতে পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘ভলটিক স্প্রে ব্যবহার করলে সব ধরনের সারফেস যেহেতু দীর্ঘ সময়ের জন্য জীবাণুমুক্ত থাকবে, সেকারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে যতো অর্থ ও সময় খরচ হয় তার তুলনায় এই স্প্রে অনেক সাশ্রয়ী হবে।’
সাদিয়া খানম স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনোমিক মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।