প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশি খেজুরচাষী ওবায়দুল ইসলাম রুবেল গল্প উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে। চাপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা ওবায়দুল ইসলাম সৌদি খেজুর চাষে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
ছোটোবেলা থেকে ওবায়দুলের ইচ্ছা ছিল ভিন্ন কিছু করার, পাশাপাশি বাবার খামারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওবায়দুল বাংলাদেশে আরবীয় খেজুর চাষের সিদ্ধান্ত নেন। সৌদি প্রবাসী এক বন্ধুর সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে ৮৩০টি চারা এনে দেড় বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। ধাপে ধাপে জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ওবায়দুলের বাগানে ১৯ ধরনের প্রায় তিন হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এরমধ্যে বিখ্যাত সুখারি, আম্বার, বারহি ধরনের খেজুর রয়েছে। এই বছরের ভরা মৌসুমে ২০০ কেজির বেশি খেজুর বিক্রি করেছেন তিনি। দেশে সৌদি খেজুর চাষে লোকসান হবে বলে গ্রামের মানুষেরা নিরুৎসাহিত করেন ওবায়দুলকে। তবে অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং বাবা মোকসেদুল ম-লের উৎসাহে পিছপা হননি এবং কঠোর পরিশ্রমে সফল হয়েছেন তিনি। রুবেল বলেন, ‘আমি চাই আমার সাফল্য দেখে আরও বেশি মানুষ সৌদি খেজুর চাষে এগিয়ে আসুক। এ ব্যাপারে সকলকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।’
বাংলাদেশের উত্তর -পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়া এবং মাটি খেজুর চাষের উপযোগী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, এলাকাটি সৌদি খেজুর চাষের জন্য উপযোগী, কারণ এর জলবায়ু মধ্যপ্রাচ্যের মতো। সৌদি জাতের খেজুরে কীটপতঙ্গ বেশি ক্ষতি করতে পারে না। তবে খেজুর চাষে সফলতা পেতে ধৈর্য ধরতে হবে বলে জানান রুবেল। তিনি বলেন, ‘সৌদি খেজুর থেকে ভালো ফল পাওয়ার জন্য কৃষকদের ধৈর্য ধরতে হবে, কারণ খেজুর বাড়াতে একটু বেশি সময় লাগে।’
বাংলাদেশি খেজুর চাষির গল্প আরব নিউজে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ