ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

বাংলাদেশি কিশোয়ারকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার টানাটানি

  • আপডেট সময় : ১২:০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে টিভি রিয়েলিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’। বরাবরের মতোই দেশটিতে তুমুল আলোচনায় আছে অনুষ্ঠানটি। আর এতে খোরাক জুগিয়েছে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী।
মাছ ভাজা থেকে ভর্তা- মজাদার সব রেসিপি দিয়ে মাত করে দিয়েছেন এই রাঁধুনি। কিশোয়ার রীতিমতো এখন টিভি তারকা।
তাই তাকে নিয়ে আলোচনা ভারতীয় মিডিয়াতেও। গত সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, কিশোয়ারের অরিজিন মূলত ভারতে। তিনি আসলে ভারতীয় বাঙালি।
এদিকে, ২৪ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’ এখন চূড়ান্ত পর্বে। আজই (৩০ জুন) জানা যাবে বাদ পড়ছেন কারা আর শেষ হাসি কে হাসছেন।
ঠিক এমন পর্যায়েই কিশোয়ারকে ভারতীয় দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি মিডিয়া।
অন্যদিকে, কিশোয়ারের ভক্তরাও দিচ্ছেন পাল্টা জবাব। বেশ কয়েকটি পর্বে মাছ ও ভর্তা নিয়ে কিশোয়ারের আবেগাপ্লুত বক্তব্যও শেয়ার করছেন তারা। যেখানে কিশোয়ারকে বারবার বলতে দেখা গেছে তিনি ও তার পরিবার এই খাবারগুলো কেমন মিস করেন।
এদিকে, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে মুখ খুলেছেন কিশোয়ারও। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তারকা বলেন, ‘আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতে। আমার বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের পর তিনি পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন। এরপর এখানে দেখা হয় আমার মায়ের সঙ্গে। মা কলকাতা থেকে এসেছিলেন। এরপর তারা বিয়ে করেন ও মেলবোর্নে স্থায়ী হন।’
কিশোয়ার নিজেকে বাংলাদেশি ও বাঙালি দাবি করেছেন বহুবার। তার তৈরি করা খাসির রেজালা, মাছের ঝোল, ভাপা মাছ, ফুচকা, চটপটি প্রভৃতি তুলে ধরেছে বাঙালির ঐতিহ্য। তাই বাঙালি ছাড়াও ভারতীয়দের মাঝেও তুমুল জনপ্রিয় এই রন্ধনশিল্পী।
উল্লেখ্য, বিশ্বে রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শোর মধ্যে মাস্টারশেফ অন্যতম। প্রায় ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। তবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া রয়েছে তালিকার শীর্ষে। এমনকি এটিই দেশটির সর্বাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান। এবার চলছে তার ১৩তম মৌসুম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশি কিশোয়ারকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার টানাটানি

আপডেট সময় : ১২:০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে টিভি রিয়েলিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’। বরাবরের মতোই দেশটিতে তুমুল আলোচনায় আছে অনুষ্ঠানটি। আর এতে খোরাক জুগিয়েছে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী।
মাছ ভাজা থেকে ভর্তা- মজাদার সব রেসিপি দিয়ে মাত করে দিয়েছেন এই রাঁধুনি। কিশোয়ার রীতিমতো এখন টিভি তারকা।
তাই তাকে নিয়ে আলোচনা ভারতীয় মিডিয়াতেও। গত সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, কিশোয়ারের অরিজিন মূলত ভারতে। তিনি আসলে ভারতীয় বাঙালি।
এদিকে, ২৪ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’ এখন চূড়ান্ত পর্বে। আজই (৩০ জুন) জানা যাবে বাদ পড়ছেন কারা আর শেষ হাসি কে হাসছেন।
ঠিক এমন পর্যায়েই কিশোয়ারকে ভারতীয় দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি মিডিয়া।
অন্যদিকে, কিশোয়ারের ভক্তরাও দিচ্ছেন পাল্টা জবাব। বেশ কয়েকটি পর্বে মাছ ও ভর্তা নিয়ে কিশোয়ারের আবেগাপ্লুত বক্তব্যও শেয়ার করছেন তারা। যেখানে কিশোয়ারকে বারবার বলতে দেখা গেছে তিনি ও তার পরিবার এই খাবারগুলো কেমন মিস করেন।
এদিকে, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে মুখ খুলেছেন কিশোয়ারও। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তারকা বলেন, ‘আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতে। আমার বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের পর তিনি পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন। এরপর এখানে দেখা হয় আমার মায়ের সঙ্গে। মা কলকাতা থেকে এসেছিলেন। এরপর তারা বিয়ে করেন ও মেলবোর্নে স্থায়ী হন।’
কিশোয়ার নিজেকে বাংলাদেশি ও বাঙালি দাবি করেছেন বহুবার। তার তৈরি করা খাসির রেজালা, মাছের ঝোল, ভাপা মাছ, ফুচকা, চটপটি প্রভৃতি তুলে ধরেছে বাঙালির ঐতিহ্য। তাই বাঙালি ছাড়াও ভারতীয়দের মাঝেও তুমুল জনপ্রিয় এই রন্ধনশিল্পী।
উল্লেখ্য, বিশ্বে রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শোর মধ্যে মাস্টারশেফ অন্যতম। প্রায় ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। তবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া রয়েছে তালিকার শীর্ষে। এমনকি এটিই দেশটির সর্বাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান। এবার চলছে তার ১৩তম মৌসুম।