ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত আইএমএফ

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ সরকার যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাতে সাড়া দিতে প্রস্তুত ঋণদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বুধবার সংস্থাটির এক মুখপাত্রের বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে তারা। আইএমএফ বলেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঋণের জন্য খাত ও অর্থের পরিমাণ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছে। রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) ফান্ড থেকে ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় আইএমএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবস্থান জানাল। তবে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করেনি সংস্থাটি। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। আইএমএফ মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। সরকার ইতোমধ্যে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার শিথিল করেছে, কম জরুরি পণ্য এবং জ্বালানি আমদানিতে সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি কম জরুরি প্রকল্পে বরাদ্দ স্থগিত করে বেশি জরুরি খাতে ব্যবহারের নির্দেশনা জারি হয়েছে। তারপরও আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আইএমএফ বলছে, তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সামাল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, যেসব সমস্যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা দিতেই তারা আরএসটি ফান্ড গঠন করেছে এবং বাংলাদেশও এ তহবিল থেকে অর্থ পেতে পারে। আর এ তহবিল থেকে ঋণ পেতে হলে আইএমএফ-সমর্থিত প্রকল্প নিতে হবে।
বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিতে আইএমএফ প্রস্তুত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্যও আরএসটি ফান্ড সচল হয়ে যাবে। আর এ সময়ে আইএমএফ কর্মীরা প্রকল্প চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত আইএমএফ

আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ সরকার যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাতে সাড়া দিতে প্রস্তুত ঋণদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বুধবার সংস্থাটির এক মুখপাত্রের বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে তারা। আইএমএফ বলেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঋণের জন্য খাত ও অর্থের পরিমাণ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছে। রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) ফান্ড থেকে ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় আইএমএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবস্থান জানাল। তবে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করেনি সংস্থাটি। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। আইএমএফ মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। সরকার ইতোমধ্যে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার শিথিল করেছে, কম জরুরি পণ্য এবং জ্বালানি আমদানিতে সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি কম জরুরি প্রকল্পে বরাদ্দ স্থগিত করে বেশি জরুরি খাতে ব্যবহারের নির্দেশনা জারি হয়েছে। তারপরও আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আইএমএফ বলছে, তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সামাল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, যেসব সমস্যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহযোগিতা দিতেই তারা আরএসটি ফান্ড গঠন করেছে এবং বাংলাদেশও এ তহবিল থেকে অর্থ পেতে পারে। আর এ তহবিল থেকে ঋণ পেতে হলে আইএমএফ-সমর্থিত প্রকল্প নিতে হবে।
বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিতে আইএমএফ প্রস্তুত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্যও আরএসটি ফান্ড সচল হয়ে যাবে। আর এ সময়ে আইএমএফ কর্মীরা প্রকল্প চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেবে।