ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য সুবিধা দেবে অস্ট্রেলিয়া

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলেও বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা অস্ট্রেলিয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইআরডি চেষ্টা করছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ইফেকটিভ এনগেজমেন্ট অব দ্য মিডিয়া ফর সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শরিফা খান বলেন, আমাদের টার্গেট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের ওপরে কাজ করা। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এখন ভাইটাল এরিয়া (মুখ্য বিষয়)। গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে আমাদের সার্ভাইভ (টিকে থাকতে) করতে হবে আমাদের নিজেদের ট্রেডের ওপর। কষ্ট কমিয়ে কীভাবে প্রডাক্টিভিটি বাড়ানো যায় এই বিষয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধার বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের পরিবর্তিত বাণিজ্য পরিস্থিতি মাথায় রেখে এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারলে এলডিসি গ্রাজুয়েশন বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনাও নিয়ে আসবে। শরিফা খান বলেন, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করলে পণ্য বা সেবার প্রকৃত দামের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দর কষাকষির অবস্থায় পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ। এলডিসির সুযোগকে কাজে লাগাতে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন ইআরডি সচিব।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া এলডিসি গ্রাজুয়শনের বিষয়ে দারুণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার ধারণা আছে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে প্রচার করার বিষয়ে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন কী? এটা করলে কী উপকার হবে- ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার করা যেতে পারে। ভারত কিন্তু এসব নিয়ে কাজ করছে। ভালো গবেষক মিলছে না দাবি করে শরিফা খান বলেন, আমি হিমশিম খাচ্ছি ভালো গবেষক খুঁজতে। রিচার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমার সন্দেহ আছে একটা জায়গায় ভালো গবেষক পাওয়া যায় না। সেটা হলো প্রডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে। টেকনিক্যাল ইস্যুতে কম লোক পাওয়া যায়। ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে আমরা অনেক কথা বলছি। আমি কমার্সে (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে) দীর্ঘদিন কাজ করেছি। তখন থেকে একটা শব্দ বার বার শুনে আসছি, সেটা হলো ডাইভারসিফিকেশন। কিন্তু এখনো আমাদের পোশাক খাতের ওপরে বেশি নির্ভর করতে হয়। আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ, বর্তমানে সেটা হয়ে গেছে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে থিংক ট্যাঙ্কদের সেই রকম অ্যাকশন প্ল্যান দেখি না। গতানুগতিক অ্যাকশন দেখে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি ভালো গবেষক আসুক। কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ কিন্তু গবেষণা করা নয়। গবেষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাকআপ তথ্য সরবরাহ করবে। সেইগুলো নিয়ে আমরা পলিসি ফর্মুলেশন করবো। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (অনুবিভাগ প্রধান) ফরিদ আজিজ। এতে অংশ নেন সাবেক সিনিয়র সচিব শাহিন আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সভাপতি হামিদ-উজ-জামান, সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য সুবিধা দেবে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় : ০২:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলেও বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা অস্ট্রেলিয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইআরডি চেষ্টা করছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ইফেকটিভ এনগেজমেন্ট অব দ্য মিডিয়া ফর সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শরিফা খান বলেন, আমাদের টার্গেট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের ওপরে কাজ করা। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এখন ভাইটাল এরিয়া (মুখ্য বিষয়)। গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে আমাদের সার্ভাইভ (টিকে থাকতে) করতে হবে আমাদের নিজেদের ট্রেডের ওপর। কষ্ট কমিয়ে কীভাবে প্রডাক্টিভিটি বাড়ানো যায় এই বিষয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধার বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের পরিবর্তিত বাণিজ্য পরিস্থিতি মাথায় রেখে এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারলে এলডিসি গ্রাজুয়েশন বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনাও নিয়ে আসবে। শরিফা খান বলেন, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করলে পণ্য বা সেবার প্রকৃত দামের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দর কষাকষির অবস্থায় পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ। এলডিসির সুযোগকে কাজে লাগাতে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন ইআরডি সচিব।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া এলডিসি গ্রাজুয়শনের বিষয়ে দারুণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার ধারণা আছে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে প্রচার করার বিষয়ে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন কী? এটা করলে কী উপকার হবে- ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার করা যেতে পারে। ভারত কিন্তু এসব নিয়ে কাজ করছে। ভালো গবেষক মিলছে না দাবি করে শরিফা খান বলেন, আমি হিমশিম খাচ্ছি ভালো গবেষক খুঁজতে। রিচার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমার সন্দেহ আছে একটা জায়গায় ভালো গবেষক পাওয়া যায় না। সেটা হলো প্রডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে। টেকনিক্যাল ইস্যুতে কম লোক পাওয়া যায়। ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে আমরা অনেক কথা বলছি। আমি কমার্সে (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে) দীর্ঘদিন কাজ করেছি। তখন থেকে একটা শব্দ বার বার শুনে আসছি, সেটা হলো ডাইভারসিফিকেশন। কিন্তু এখনো আমাদের পোশাক খাতের ওপরে বেশি নির্ভর করতে হয়। আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ, বর্তমানে সেটা হয়ে গেছে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে থিংক ট্যাঙ্কদের সেই রকম অ্যাকশন প্ল্যান দেখি না। গতানুগতিক অ্যাকশন দেখে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি ভালো গবেষক আসুক। কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ কিন্তু গবেষণা করা নয়। গবেষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাকআপ তথ্য সরবরাহ করবে। সেইগুলো নিয়ে আমরা পলিসি ফর্মুলেশন করবো। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (অনুবিভাগ প্রধান) ফরিদ আজিজ। এতে অংশ নেন সাবেক সিনিয়র সচিব শাহিন আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সভাপতি হামিদ-উজ-জামান, সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ।