ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

বহুতল ভবন নয়, টিনশেড মার্কেটে ফিরতে চান ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

কৃষি মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বহুতল ভবন বাস্তবায়ন করতে গেলে অনেক বছর লেগে যাবে। এতে করে আগুনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে লাগবে অনেক সময়। এছাড়া বর্তমানে দোকান যে পজিশনে রয়েছে ভবন হলে সেই পজিশনে দোকান থাকবে না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের কাছে এ দাবি করেন তারা।
ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের কথা শুনে প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দেন, রোববারের মধ্যে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য এক হাজার বান্ডিল টিন ও এক কোটি টাকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যদি আরও লাগে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। আগুন লাগার আগে যার যে পরিমাণ জায়গাতে দোকান ছিল তারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন। কারো জায়গা কেউ যেন দখল না করে। আগের অবস্থায় কাজ শুরু হবে। কৃষি মার্কেটের মালিক যেহেতু সিটি করপোরেশন তারা এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে। দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেন জানতে পারেন যে, সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সহায়তা পেয়েছে। তাদের হক কোনোভাবে নষ্ট করা যাবে না। দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনর্বাসন করার কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের আশ্বস্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘দুই হাত ভরে দিবা, যাতে আমার জনগণ জানতে পারে ও বুঝতে পারে শেখ হাসিনা তাদের পাশে আছে, শেখ হাসিনার সরকার তাদের পাশে আছে।’ প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, কেউ কষ্ট পাবেন না।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায় ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগছে। দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে। আর যদি সাধারণ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি দিয়ে যেনতেনভাবে লাইন টানা হয়, তাহলে আগুনের ঘটনা বারবার মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই শুধু সরকার নয়, জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকেও কমপ্লেক্স তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও কৃষি মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সলিমুল্লাহ সলু, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবুল কালাম আজাদ ও দোকান মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুল হক প্রমুখ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বহুতল ভবন নয়, টিনশেড মার্কেটে ফিরতে চান ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৯:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কৃষি মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বহুতল ভবন বাস্তবায়ন করতে গেলে অনেক বছর লেগে যাবে। এতে করে আগুনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে লাগবে অনেক সময়। এছাড়া বর্তমানে দোকান যে পজিশনে রয়েছে ভবন হলে সেই পজিশনে দোকান থাকবে না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের কাছে এ দাবি করেন তারা।
ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের কথা শুনে প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দেন, রোববারের মধ্যে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য এক হাজার বান্ডিল টিন ও এক কোটি টাকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যদি আরও লাগে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। আগুন লাগার আগে যার যে পরিমাণ জায়গাতে দোকান ছিল তারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন। কারো জায়গা কেউ যেন দখল না করে। আগের অবস্থায় কাজ শুরু হবে। কৃষি মার্কেটের মালিক যেহেতু সিটি করপোরেশন তারা এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে। দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেন জানতে পারেন যে, সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সহায়তা পেয়েছে। তাদের হক কোনোভাবে নষ্ট করা যাবে না। দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনর্বাসন করার কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের আশ্বস্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘দুই হাত ভরে দিবা, যাতে আমার জনগণ জানতে পারে ও বুঝতে পারে শেখ হাসিনা তাদের পাশে আছে, শেখ হাসিনার সরকার তাদের পাশে আছে।’ প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, কেউ কষ্ট পাবেন না।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায় ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগছে। দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে। আর যদি সাধারণ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি দিয়ে যেনতেনভাবে লাইন টানা হয়, তাহলে আগুনের ঘটনা বারবার মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই শুধু সরকার নয়, জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকেও কমপ্লেক্স তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও কৃষি মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সলিমুল্লাহ সলু, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবুল কালাম আজাদ ও দোকান মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুল হক প্রমুখ।