ক্রীড়া প্রতিবেদক : কপাল খারাপই বলতে হবে বসুন্ধরা কিংসের। সমীকরণ ছিল একটাই। পরবর্তী রাউন্ডে খেলতে হলে মোহনবাগানের বিপক্ষে কাল বসুন্ধরাকে জিততেই হতো। প্রথমার্ধে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জোনাথন ফার্নান্দেজের গোলে সে পথে এগিয়েও গিয়েছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এগিয়ে থাকার আনন্দ নিয়ে বিরতিতে যাওয়া যায়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরার ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়ে এক খেলোয়াড় কম নিয়েও মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে সমানে-সমান টেক্কা দিয়েছে বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। শেষের কিছু সময় তো রীতিমতো চাপে ছিল মোহনবাগান।
যার ফলে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ একজন বেশি নিয়ে খেলা মোহনবাগান সমতাসূচক গোল পেলেও শেষমেশ ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে পারেনি। পায়নি গ্রুপপর্বের টানা তৃতীয় জয়। উল্টো আরেকটু হলে জিতে যাচ্ছিল বসুন্ধরা কিংসই। ম্যাচের শেষ দিকে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রবিনিওর এক বাঁকানো শট মোহনবাগান ডিফেন্ডার আর গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে লাগে পোস্টে। এক ইঞ্চি এদিক-সেদিক হলে ওই শটেই হতো গোল, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ত বসুন্ধরা, উঠত পরের রাউন্ডে। সেটি হয়নি।
কানের পাশ দিয়ে এভাবে গুলি যাওয়ার পরেও ম্যাচে নিজেদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতার তারিফ করেছেন। সঙ্গে নিজেদের বসুন্ধরার চেয়ে ভালো দল বলেও দাবি করেছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘তাঁরা (বসুন্ধরা কিংস) অনেক শক্তিশালী আর অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষ। আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ অনেক ভালো দল ছিল। তাও আমরা গোটা নব্বই মিনিট ধরে আমরা প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো খেলেছি। তাঁদের অবশ্য একজন খেলোয়াড় কমও ছিল। আমি আমার ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতায় আমি মুগ্ধ।’
নিজেদের অনুশীলনের ঘাটতির ব্যাপারটাও তুলে ধরেছেন হাবাস, ‘বেশ কঠিন একটা পর্ব ছিল এটা আমাদের জন্য। কারণ আমরা মাত্র বিশ দিন পেয়েছি অনুশীলনের জন্য। বেঞ্চেও অত মানসম্পন্ন খেলোয়াড় ছিল না। আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত ও তাঁদের অভিনন্দন জানাতে চাই।’
বসুন্ধরার বিপক্ষে ‘৯০ মিনিট ধরে ভালো খেলা’র দাবি মোহনবাগান কোচের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ