ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বসানো হচ্ছে ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট

  • আপডেট সময় : ০২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবেলায় অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে ৩০টি অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এ বিষয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আর্থিক সহায়তা দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংক্রমিত রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে অক্সিজেন সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সঞ্চালন লাইন অথবা সিলিন্ডারের মাধ্যমে ভ্যাকুয়াম ইনসালটেড এভাপরাটর (ভিআইই) ট্যাংক থেকে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী ২/১ দিন পরপর ভিআইই ট্যাংক বা সিলিন্ডার পূরণ করতে হয় যা অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সঠিক সময়ে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার আশংকা থাকে। এ কারণে অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সূত্র জানায়, করোনাভাইসে আক্রান্ত সংকাপন্ন রোগীদের অক্সিজেন সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রোজেক্ট (সিআরইএপি) এর আওতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট কেনার প্রস্তাব করে। এরআগে প্রকল্প পরিচালকের অ্যাপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কেনার বিষয়ে এডিবি’র বাংলাদেশস্থ আবাসিক মিশস থেকে গত ১৫জুলাই তারিখে সম্মতি দেয়।
সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রজেক্ট (সিআরইএপি) শীর্ষক প্রকল্পটি গত বছর ২ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনমোদিত হয়। প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় একহাজার ৩৬৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, মেয়াদ ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। প্রকল্প পরিচালক দপ্তরের চাহিদাপত্রে ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্টের প্রাক্কলিত দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট প্রকল্পের অর্থ থেকে কেনা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার স্বাক্ষরিত অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য জরুরি ভিত্তিতে যাচিত অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট সংগ্রহ/ক্রয় করা আবশ্যক। জরুরি ভিত্তিতে ক্রয়ের জন্য প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬-এর ধারা ৬৮ এর আলোকে ধারা ৩২-এ বর্ণিত সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অনুসরণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পিপিআর, ২০০৮ এর তফসিল-এর বিধি ৭৬(১) অনুযায়ী সরাসরি চুক্তির আওতায় জরুরি পরিস্থিতি বা সংকট মোকাবিলায় পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সীমা ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে।
পিপিএ,২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ প্রয়োজন।
সম্প্রতি ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অর্থাৎ বিনা টেন্ডারে কেনার জন্য একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবটি নোটিশের মাধ্যমে উঠেনি। জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছে। তবে কত টাকা লাগবে এবং কয়টি প্ল্যান্ট, কোথায় বাসনো হবে তা জানা যায়নি। পরবর্তীতে হয়তো জানা যাবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বসানো হচ্ছে ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট

আপডেট সময় : ০২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবেলায় অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে ৩০টি অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এ বিষয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আর্থিক সহায়তা দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংক্রমিত রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে অক্সিজেন সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সঞ্চালন লাইন অথবা সিলিন্ডারের মাধ্যমে ভ্যাকুয়াম ইনসালটেড এভাপরাটর (ভিআইই) ট্যাংক থেকে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী ২/১ দিন পরপর ভিআইই ট্যাংক বা সিলিন্ডার পূরণ করতে হয় যা অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সঠিক সময়ে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার আশংকা থাকে। এ কারণে অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সূত্র জানায়, করোনাভাইসে আক্রান্ত সংকাপন্ন রোগীদের অক্সিজেন সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রোজেক্ট (সিআরইএপি) এর আওতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট কেনার প্রস্তাব করে। এরআগে প্রকল্প পরিচালকের অ্যাপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কেনার বিষয়ে এডিবি’র বাংলাদেশস্থ আবাসিক মিশস থেকে গত ১৫জুলাই তারিখে সম্মতি দেয়।
সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রজেক্ট (সিআরইএপি) শীর্ষক প্রকল্পটি গত বছর ২ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনমোদিত হয়। প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় একহাজার ৩৬৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, মেয়াদ ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। প্রকল্প পরিচালক দপ্তরের চাহিদাপত্রে ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্টের প্রাক্কলিত দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট প্রকল্পের অর্থ থেকে কেনা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার স্বাক্ষরিত অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য জরুরি ভিত্তিতে যাচিত অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট সংগ্রহ/ক্রয় করা আবশ্যক। জরুরি ভিত্তিতে ক্রয়ের জন্য প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬-এর ধারা ৬৮ এর আলোকে ধারা ৩২-এ বর্ণিত সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অনুসরণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পিপিআর, ২০০৮ এর তফসিল-এর বিধি ৭৬(১) অনুযায়ী সরাসরি চুক্তির আওতায় জরুরি পরিস্থিতি বা সংকট মোকাবিলায় পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সীমা ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে।
পিপিএ,২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ প্রয়োজন।
সম্প্রতি ৩০টি অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অর্থাৎ বিনা টেন্ডারে কেনার জন্য একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবটি নোটিশের মাধ্যমে উঠেনি। জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছে। তবে কত টাকা লাগবে এবং কয়টি প্ল্যান্ট, কোথায় বাসনো হবে তা জানা যায়নি। পরবর্তীতে হয়তো জানা যাবে।’