ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বসন্ত এসে গেছে, আজ ভালবাসার দিন

  • আপডেট সময় : ০৩:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন এবং বাংলা সনের একাদশ মাস। বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব।
ফাল্গুনের প্রথম দিনকে বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুন ও বসন্ত বরণ উৎসব হিসেবে উদ্যাপন করা হয় যা ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজন করা হয়।
এদিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এটি সেই দিন যখন একজন মানুষ আরেকজনের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট পাঠিয়ে থাকে। বাঙালির জীবনে পহেলা ফালগুন ও ভালবাসা দিবস একইদিনে হওয়ায় এই দিনটি রীতিমতো উৎসবের আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে। যদিও পরপর দুই বছর করোনা মহামারির কারণে দিবসটি পালনে কিছুটা ছেদ পড়েছে।
শীতের রুক্ষতাকে পিছনে ফেলে প্রকৃতিকে আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ফুলের মুকুল আসে। পাখি গান গায়। আর বাতাসে ভাসে মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ। প্রজাপতিরা রঙিন ডানা মেলে জানায় ঋতুরাজের আগমনী বার্তা। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয় মানুষের মনেও জাগায় প্রাণের ছোঁয়া। তাই বসন্তের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। নিজেকে সাজিয়ে তোলে বসন্তের রঙে।
ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নামে নক্ষত্র থেকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ উভয়ই মেনে চলা হতো। ফাল্গুন ছিল পূর্ণ চন্দ্রের মাস। ১৯৫০-১৯৬০ দশকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়। সেসময় বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার পাশাপাশি বাঙালি নিয়মে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু করে।
বসন্ত নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গান, অনেক কবিতা। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ ফুল ফুটুক, আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ‘বসন্ত নিয়ে জনপ্রিয় একটি গান হচ্ছে ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সই গো, বসন্ত বাতাসে’। বিশ^ কবি রবীন্ত্রনাথ ঠাকুর বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অনেক কবিতা এবং গান।
পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত আমাদের সাংস্কৃতিক অনুসঙ্গ যেমন, তেমনি এ মাসের রাজনৈতিক গুরুত্বও অসীম। ফাগুনে শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাগুনের শহীদদের কথা। মনে করিয়ে দেয় ভাষা শহীদের রক্তের ইতিহাস। এ মাসেই মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক সফিক বরকত সালামরা। তাদের রক্তের সোপান বেয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই ফাগুন বাঙ্গালীর দ্রোহেরও মাস।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালবাসা দিবস : সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এটি সেই দিন যখন একজন মানুষ আরেকজনের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট পাঠিয়ে থাকে।
কে ছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন? একজন বিখ্যাত সেইন্ট বা ধর্ম যাজকের নাম থেকে দিনটি এমন নাম পেয়েছে। তবে তিনি কে ছিলেন – তা নিয়ে বিভিন্ন গল্প রয়েছে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে জনপ্রিয় বিশ্বাস হল তিনি খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমের একজন পুরোহিত ছিলেন। সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা খারাপ সৈন্য হয়ে থাকে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেছেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙ্গে গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ক্লডিয়াস যখন এই খবর জানতে পারেন, তখন তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং মৃত্যুদ- দেওয়া হয়।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। ১৪ ফেব্রুয়ারি যখন তাকে মৃত্যুদ- কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভ্যালেন্টাইন ওই মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান। যেখানে লেখা ছিল, “তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে”। ভালোবাসা দিবসের প্রাচীনতম বার্তা। ইংরেজিতে লেখা ভালোবাসা দিবসের প্রাচীনতম বার্তা। এটি ১৪৭৭ সালে লেখা হয়েছিল
ভ্যালেন্টাইন’স ডে কীভাবে শুরু হয়েছিল? প্রথম ভ্যালেন্টাইন’স ডে ছিল ৪৯৬ সালে। একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালনের বিষয়টি বেশ প্রাচীনকালের ঐতিহ্য, যা রোমান উৎসব থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। রোমানদের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে লুপারকালিয়া নামে একটি উৎসব ছিল – আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বসন্ত মৌসুম শুরু হওয়ার সময়। উদযাপনের অংশ হিসাবে ছেলেরা একটি বাক্স থেকে মেয়েদের নাম লেখা চিরকুট তোলেন। যে ছেলের হাতে যেই মেয়ের নাম উঠত, তারা দুজন ওই উৎসব চলাকালীন সময়ে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকতেন বলে মনে করা হয়। অনেক সময় ওই জুটিই বিয়েও সেরে ফেলতেন। পরবর্তী সময়ে, গির্জা এই উৎসবটিকে খ্রিস্টান উৎসবে রূপ দিতে চেয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার এই পেঙ্গুইনরা ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। একইসাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে এই উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামটি মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠতে শুরু করে। আর মানুষ তার ভালবাসার মানুষের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশের জন্য এই নামটি ব্যবহার করা শুরু করে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বসন্ত এসে গেছে, আজ ভালবাসার দিন

আপডেট সময় : ০৩:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি : আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন এবং বাংলা সনের একাদশ মাস। বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব।
ফাল্গুনের প্রথম দিনকে বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুন ও বসন্ত বরণ উৎসব হিসেবে উদ্যাপন করা হয় যা ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজন করা হয়।
এদিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এটি সেই দিন যখন একজন মানুষ আরেকজনের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট পাঠিয়ে থাকে। বাঙালির জীবনে পহেলা ফালগুন ও ভালবাসা দিবস একইদিনে হওয়ায় এই দিনটি রীতিমতো উৎসবের আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে। যদিও পরপর দুই বছর করোনা মহামারির কারণে দিবসটি পালনে কিছুটা ছেদ পড়েছে।
শীতের রুক্ষতাকে পিছনে ফেলে প্রকৃতিকে আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ফুলের মুকুল আসে। পাখি গান গায়। আর বাতাসে ভাসে মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ। প্রজাপতিরা রঙিন ডানা মেলে জানায় ঋতুরাজের আগমনী বার্তা। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয় মানুষের মনেও জাগায় প্রাণের ছোঁয়া। তাই বসন্তের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। নিজেকে সাজিয়ে তোলে বসন্তের রঙে।
ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নামে নক্ষত্র থেকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ উভয়ই মেনে চলা হতো। ফাল্গুন ছিল পূর্ণ চন্দ্রের মাস। ১৯৫০-১৯৬০ দশকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়। সেসময় বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার পাশাপাশি বাঙালি নিয়মে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু করে।
বসন্ত নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গান, অনেক কবিতা। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ ফুল ফুটুক, আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ‘বসন্ত নিয়ে জনপ্রিয় একটি গান হচ্ছে ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সই গো, বসন্ত বাতাসে’। বিশ^ কবি রবীন্ত্রনাথ ঠাকুর বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অনেক কবিতা এবং গান।
পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত আমাদের সাংস্কৃতিক অনুসঙ্গ যেমন, তেমনি এ মাসের রাজনৈতিক গুরুত্বও অসীম। ফাগুনে শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাগুনের শহীদদের কথা। মনে করিয়ে দেয় ভাষা শহীদের রক্তের ইতিহাস। এ মাসেই মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক সফিক বরকত সালামরা। তাদের রক্তের সোপান বেয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই ফাগুন বাঙ্গালীর দ্রোহেরও মাস।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালবাসা দিবস : সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এটি সেই দিন যখন একজন মানুষ আরেকজনের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট পাঠিয়ে থাকে।
কে ছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন? একজন বিখ্যাত সেইন্ট বা ধর্ম যাজকের নাম থেকে দিনটি এমন নাম পেয়েছে। তবে তিনি কে ছিলেন – তা নিয়ে বিভিন্ন গল্প রয়েছে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে জনপ্রিয় বিশ্বাস হল তিনি খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমের একজন পুরোহিত ছিলেন। সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা খারাপ সৈন্য হয়ে থাকে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেছেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙ্গে গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ক্লডিয়াস যখন এই খবর জানতে পারেন, তখন তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং মৃত্যুদ- দেওয়া হয়।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। ১৪ ফেব্রুয়ারি যখন তাকে মৃত্যুদ- কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভ্যালেন্টাইন ওই মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান। যেখানে লেখা ছিল, “তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে”। ভালোবাসা দিবসের প্রাচীনতম বার্তা। ইংরেজিতে লেখা ভালোবাসা দিবসের প্রাচীনতম বার্তা। এটি ১৪৭৭ সালে লেখা হয়েছিল
ভ্যালেন্টাইন’স ডে কীভাবে শুরু হয়েছিল? প্রথম ভ্যালেন্টাইন’স ডে ছিল ৪৯৬ সালে। একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালনের বিষয়টি বেশ প্রাচীনকালের ঐতিহ্য, যা রোমান উৎসব থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। রোমানদের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে লুপারকালিয়া নামে একটি উৎসব ছিল – আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বসন্ত মৌসুম শুরু হওয়ার সময়। উদযাপনের অংশ হিসাবে ছেলেরা একটি বাক্স থেকে মেয়েদের নাম লেখা চিরকুট তোলেন। যে ছেলের হাতে যেই মেয়ের নাম উঠত, তারা দুজন ওই উৎসব চলাকালীন সময়ে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকতেন বলে মনে করা হয়। অনেক সময় ওই জুটিই বিয়েও সেরে ফেলতেন। পরবর্তী সময়ে, গির্জা এই উৎসবটিকে খ্রিস্টান উৎসবে রূপ দিতে চেয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার এই পেঙ্গুইনরা ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। একইসাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে এই উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামটি মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠতে শুরু করে। আর মানুষ তার ভালবাসার মানুষের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশের জন্য এই নামটি ব্যবহার করা শুরু করে।