ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

বসনিয়ার জালে জার্মানির ৭ গোল

  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের ৭৯ সেকেন্ডেই বসনিয়ার জালে বল জড়াল। সেই যে শুরু হলো, এরপর আক্রমণের ঢেউ উঠল। গোলও হলো মুড়ি-মুড়কির মতো। একপেশে লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে নেশন্স লিগের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। নকআউট পর্বের টিকেট আগেই নিশ্চিত করেছে জার্মানি। ফ্রেইবুর্কে শনিবার রাতে ৭-০ গোলে জিতে গ্রুপ সেরা হলো তারা। এই গোল উৎসবে দুবার করে জালে বল পাঠিয়েছেন টিম ক্লাইনডিন্সট ও ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ। তাদের অন্য তিন গোলদাতা জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্টজ ও লেরয় সানে। পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট জার্মানির। দিনের আরেক ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে উঠেছে নেদারল্যান্ডস, তাদের পয়েন্ট ৮। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে হাঙ্গেরি। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া বসনিয়া ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে। শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে শুরুতে জার্মানিকে এগিয়ে দেন মুসিয়ালা। জসুয়া কিমিখের ক্রস বক্সে পেয়ে দারুণ হেডে গোলটি করেন তিনি। ২৩তম মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত এক টোকায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লাইনডিন্সট। বক্সের বাইরে থেকে হোবার্ত আনড্রিসের শট হয়তো পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যেত, মাঝপথে ছোট্ট এক টোকায় সেই অনিশ্চয়তা দূর করেন বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের ফরোয়ার্ড। জাতীয় দলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। দুই মিনিট পরই মিলতে পারতো তৃতীয় গোল। তবে এবার আর ব্যর্থ হননি বসনিয়া গোলরক্ষক নিকোলা ভাসিলিভ। হাভার্টজের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধের প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে, আক্রমণের ঢেউ তোলা জার্মানি ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায়। ফ্লোরিয়ান ভিরৎজের ছোট পাস পেয়ে কাছ থেকে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান হাভার্টজ। বিরতির ঠিক আগে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হারায় বসনিয়া। ওয়ান-অন-ওয়ানে এর্মেদিনের শট পা বাড়িয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক অলিভার বাউমান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় জার্মানি। ৫০তম মিনিটে দারুণ ফ্রি কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ভিরৎজ। সাত মিনিট পর কাছ থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৫-০ করেন বায়ার লেভারকুজেনের এই মিডফিল্ডার। একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ৬৬তম মিনিটে দুর্দান্ত একটি গোল করেন সানে। হাভার্টজের পাস ধরে দারুণ দুই ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড, গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলের গতি কমালেও আটকাতে পারেননি। ৭৯তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্লাইনডিন্সট। আন্টোনিও রুডিগারের উঁচু করে গোলমুখে বাড়ানো থ্রু বল স্লাইড করে টোকায় জালে পাঠান ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। চার মিনিট পর হতে পারতো আরও একটি। তবে পাসকেল গ্রসের শট সতীর্থ বেনিয়ামিনের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। হতাশাময় দিনে আরও একটি গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় বসনিয়া।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বসনিয়ার জালে জার্মানির ৭ গোল

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের ৭৯ সেকেন্ডেই বসনিয়ার জালে বল জড়াল। সেই যে শুরু হলো, এরপর আক্রমণের ঢেউ উঠল। গোলও হলো মুড়ি-মুড়কির মতো। একপেশে লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে নেশন্স লিগের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। নকআউট পর্বের টিকেট আগেই নিশ্চিত করেছে জার্মানি। ফ্রেইবুর্কে শনিবার রাতে ৭-০ গোলে জিতে গ্রুপ সেরা হলো তারা। এই গোল উৎসবে দুবার করে জালে বল পাঠিয়েছেন টিম ক্লাইনডিন্সট ও ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ। তাদের অন্য তিন গোলদাতা জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্টজ ও লেরয় সানে। পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট জার্মানির। দিনের আরেক ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে উঠেছে নেদারল্যান্ডস, তাদের পয়েন্ট ৮। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে হাঙ্গেরি। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া বসনিয়া ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে। শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে শুরুতে জার্মানিকে এগিয়ে দেন মুসিয়ালা। জসুয়া কিমিখের ক্রস বক্সে পেয়ে দারুণ হেডে গোলটি করেন তিনি। ২৩তম মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত এক টোকায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লাইনডিন্সট। বক্সের বাইরে থেকে হোবার্ত আনড্রিসের শট হয়তো পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যেত, মাঝপথে ছোট্ট এক টোকায় সেই অনিশ্চয়তা দূর করেন বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের ফরোয়ার্ড। জাতীয় দলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। দুই মিনিট পরই মিলতে পারতো তৃতীয় গোল। তবে এবার আর ব্যর্থ হননি বসনিয়া গোলরক্ষক নিকোলা ভাসিলিভ। হাভার্টজের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধের প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে, আক্রমণের ঢেউ তোলা জার্মানি ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায়। ফ্লোরিয়ান ভিরৎজের ছোট পাস পেয়ে কাছ থেকে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান হাভার্টজ। বিরতির ঠিক আগে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হারায় বসনিয়া। ওয়ান-অন-ওয়ানে এর্মেদিনের শট পা বাড়িয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক অলিভার বাউমান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় জার্মানি। ৫০তম মিনিটে দারুণ ফ্রি কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ভিরৎজ। সাত মিনিট পর কাছ থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৫-০ করেন বায়ার লেভারকুজেনের এই মিডফিল্ডার। একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ৬৬তম মিনিটে দুর্দান্ত একটি গোল করেন সানে। হাভার্টজের পাস ধরে দারুণ দুই ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড, গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলের গতি কমালেও আটকাতে পারেননি। ৭৯তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্লাইনডিন্সট। আন্টোনিও রুডিগারের উঁচু করে গোলমুখে বাড়ানো থ্রু বল স্লাইড করে টোকায় জালে পাঠান ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। চার মিনিট পর হতে পারতো আরও একটি। তবে পাসকেল গ্রসের শট সতীর্থ বেনিয়ামিনের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। হতাশাময় দিনে আরও একটি গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় বসনিয়া।