ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

চীনের ২ অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি-বন্যা সতর্কতা

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

য়টার্স : চলতি মাসে ব্যাপক তাপপ্রবাহের মুখে পড়েছিল চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এমনকি তাপপ্রবাহের জেরে দেখা দিয়েছিল দাবানলেরও। তবে সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার আরেক দুর্যোগের মধ্যে পড়তে বসেছে চীনের এই দক্ষিণ-পশ্চিমের চংকিং এবং সিচুয়ান এলাকা।
মূলত ব্যাপক তাপমাত্রার শিকার হওয়া চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই দুই এলাকায় আগামী কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে করে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং তা একটানা আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সিচুয়ান এবং চংকিং-এ জরুরি বন্যা-প্রতিরোধ কর্মকা- শুরু করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের সরকার এই অঞ্চলে জাতীয় খরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। দক্ষিণ চীনের অনেক অংশে গত কয়েক সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায়। ১৯৬১ সালে সরকার তথ্য সংকলন করা শুরুর পর থেকে এটিকেই ব্যাপকভাবে উষ্ণতম সময় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চংকিংয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ কোনো বৃষ্টি হয়নি এবং বাধ্য হয়ে বিদ্যুতের রেশন সিস্টেম চালু করে সরকার। এতে করে সেখানকার বড় বড় বৈশ্বিক কোম্পানির কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। অবশ্য খরা ছাড়াও ইয়াংজি নদীর অববাহিকা বরাবর প্রচ- তাপও অনেক শহর ও আশপাশের এলাকার ফসলকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। খরার সময় ঝলসে যাওয়া, কাদামাখা হ্রদ এবং শুকিয়ে যাওয়া নদীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি চংকিং এবং সিচুয়ান এসময় দাবানলের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছে। রয়টার্স বলছে, সোমবার ও মঙ্গলবারের প্রবল বৃষ্টি সিচুয়ান অববাহিকার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং পশ্চিম ও উত্তর চংকিংয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আনিস আলমগীরকে গ্রেফতার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়

চীনের ২ অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি-বন্যা সতর্কতা

আপডেট সময় : ০২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

য়টার্স : চলতি মাসে ব্যাপক তাপপ্রবাহের মুখে পড়েছিল চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এমনকি তাপপ্রবাহের জেরে দেখা দিয়েছিল দাবানলেরও। তবে সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার আরেক দুর্যোগের মধ্যে পড়তে বসেছে চীনের এই দক্ষিণ-পশ্চিমের চংকিং এবং সিচুয়ান এলাকা।
মূলত ব্যাপক তাপমাত্রার শিকার হওয়া চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই দুই এলাকায় আগামী কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে করে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং তা একটানা আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সিচুয়ান এবং চংকিং-এ জরুরি বন্যা-প্রতিরোধ কর্মকা- শুরু করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের সরকার এই অঞ্চলে জাতীয় খরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। দক্ষিণ চীনের অনেক অংশে গত কয়েক সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায়। ১৯৬১ সালে সরকার তথ্য সংকলন করা শুরুর পর থেকে এটিকেই ব্যাপকভাবে উষ্ণতম সময় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চংকিংয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ কোনো বৃষ্টি হয়নি এবং বাধ্য হয়ে বিদ্যুতের রেশন সিস্টেম চালু করে সরকার। এতে করে সেখানকার বড় বড় বৈশ্বিক কোম্পানির কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। অবশ্য খরা ছাড়াও ইয়াংজি নদীর অববাহিকা বরাবর প্রচ- তাপও অনেক শহর ও আশপাশের এলাকার ফসলকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। খরার সময় ঝলসে যাওয়া, কাদামাখা হ্রদ এবং শুকিয়ে যাওয়া নদীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি চংকিং এবং সিচুয়ান এসময় দাবানলের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছে। রয়টার্স বলছে, সোমবার ও মঙ্গলবারের প্রবল বৃষ্টি সিচুয়ান অববাহিকার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং পশ্চিম ও উত্তর চংকিংয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।