ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

বর্ষাকালে মশা বাড়ে, ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ে

  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাড়ির জানলায় নেট লাগান: বৃষ্টির সময়ে মশা-মাছি থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ বাড়ে। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে। বাড়ির জানলায় নেট লাগিয়ে মশা-মাছির প্রবেশ আটকান।
ফুল হাতা পোশাক ও প্যান্ট পরুন: বাইরে বের হলে যতটা পারেন ঢাকা পোশাক পরুন। গলা, হাত বা শরীরের অন্য যে অংশ পোশাকে ঢাকা নেই, সেই অংশে মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
মশার ওষুধ স্প্রে করুন: মশার ওষুধ স্প্রে করতে পারেন মাঝেমধ্যে। মশা তাড়ানোর তরল ওষুধ বা কয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন: বাড়ির চারপাশে মশা যাতে না জন্মাতে পারে, তার খেয়াল রাখুন। কোনো জায়গায় পানি জমে থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করুন। ছাদ বা বাগানে কোনও টব, বালতি বা খোলা পাত্রে যদি বৃষ্টির জল জমে থাকে, তা ফেলে দিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ফ্লু ঠেকাতে প্রতিষেধক নিতে পারেন। তবে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের এখনো কোনো প্রতিষেধক বাজারে নেই। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মশা কাদের বেশি কামড়ায়? মশার প্রাদুর্ভাব অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বেড়ে যায়। এ মৌসুমে মশাবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বাড়ে। মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ায়। তবে কারও কারও মতে, মশা তাদেরকেই বেশি কামড়ায়! বিষয়টি কি সত্যিই? বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, মশা বেশি কামড়ানো কিংবা কম কামড়ানোর মধ্যে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি আছে। সত্যিই মশা কাউকে বেশি কামড়ায় আর কাউকে কম। এর মূল কারণ হলো রক্তের গ্রুপ ও পোশাকের রং। আসলে মশারও পছন্দের রক্তের গ্রুপ আছে। আর এ কারণেই ওই রক্ত আছে যাদের শরীরে তাদেরকেই বেশি কামড়ায় মশা। পাশাপাশি কোন রঙের পোশাক পরে আছেন তার উপরও অনেকটা নির্ভর করে মশা বেশি নাকি কম কামড়াবে।
গবেষকদের মতে, কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক পরে থাকা ব্যক্তিদের মশা বেশি কামড়ায়। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসি ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানাচ্ছেন, কিছু মানুষের শরীরে মশার প্রিয় রাসায়নিক বেশি থাকে। তাই মশা সেসব মানুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। ইউসি ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লার্ক কফির মতে, ‘মানুষের শরীরের গন্ধ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডে আকৃষ্ট হয় মশা। কারো কারো শরীরের গন্ধ মশার কাছে বেশি প্রিয়।’
তার মতে, ‘আমাদের ত্বক থেকে নিঃসৃত কিছু রাসায়নিক (যেমন, ল্যাকটিক এসিড) মশাকে বেশি আকর্ষণ করে। যাদের শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেশি নির্গত হয়, তাদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।’ এমনকি গবেষণায় আরও জানা গেছে, গর্ভবতী নারী, যাদের শরীর অতিরিক্ত মেদযুক্ত, শরীরচর্চার পর বা মদ্যপানের পর মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। সূত্র: ভেরি ওয়েল হেলথ/দ্য সায়েনটিস্ট ম্যাগাজিন

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বর্ষাকালে মশা বাড়ে, ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ে

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

বাড়ির জানলায় নেট লাগান: বৃষ্টির সময়ে মশা-মাছি থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ বাড়ে। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে। বাড়ির জানলায় নেট লাগিয়ে মশা-মাছির প্রবেশ আটকান।
ফুল হাতা পোশাক ও প্যান্ট পরুন: বাইরে বের হলে যতটা পারেন ঢাকা পোশাক পরুন। গলা, হাত বা শরীরের অন্য যে অংশ পোশাকে ঢাকা নেই, সেই অংশে মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
মশার ওষুধ স্প্রে করুন: মশার ওষুধ স্প্রে করতে পারেন মাঝেমধ্যে। মশা তাড়ানোর তরল ওষুধ বা কয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন: বাড়ির চারপাশে মশা যাতে না জন্মাতে পারে, তার খেয়াল রাখুন। কোনো জায়গায় পানি জমে থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করুন। ছাদ বা বাগানে কোনও টব, বালতি বা খোলা পাত্রে যদি বৃষ্টির জল জমে থাকে, তা ফেলে দিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ফ্লু ঠেকাতে প্রতিষেধক নিতে পারেন। তবে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের এখনো কোনো প্রতিষেধক বাজারে নেই। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মশা কাদের বেশি কামড়ায়? মশার প্রাদুর্ভাব অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বেড়ে যায়। এ মৌসুমে মশাবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বাড়ে। মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ায়। তবে কারও কারও মতে, মশা তাদেরকেই বেশি কামড়ায়! বিষয়টি কি সত্যিই? বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, মশা বেশি কামড়ানো কিংবা কম কামড়ানোর মধ্যে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি আছে। সত্যিই মশা কাউকে বেশি কামড়ায় আর কাউকে কম। এর মূল কারণ হলো রক্তের গ্রুপ ও পোশাকের রং। আসলে মশারও পছন্দের রক্তের গ্রুপ আছে। আর এ কারণেই ওই রক্ত আছে যাদের শরীরে তাদেরকেই বেশি কামড়ায় মশা। পাশাপাশি কোন রঙের পোশাক পরে আছেন তার উপরও অনেকটা নির্ভর করে মশা বেশি নাকি কম কামড়াবে।
গবেষকদের মতে, কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক পরে থাকা ব্যক্তিদের মশা বেশি কামড়ায়। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসি ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানাচ্ছেন, কিছু মানুষের শরীরে মশার প্রিয় রাসায়নিক বেশি থাকে। তাই মশা সেসব মানুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। ইউসি ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লার্ক কফির মতে, ‘মানুষের শরীরের গন্ধ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডে আকৃষ্ট হয় মশা। কারো কারো শরীরের গন্ধ মশার কাছে বেশি প্রিয়।’
তার মতে, ‘আমাদের ত্বক থেকে নিঃসৃত কিছু রাসায়নিক (যেমন, ল্যাকটিক এসিড) মশাকে বেশি আকর্ষণ করে। যাদের শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেশি নির্গত হয়, তাদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।’ এমনকি গবেষণায় আরও জানা গেছে, গর্ভবতী নারী, যাদের শরীর অতিরিক্ত মেদযুক্ত, শরীরচর্চার পর বা মদ্যপানের পর মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। সূত্র: ভেরি ওয়েল হেলথ/দ্য সায়েনটিস্ট ম্যাগাজিন