ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

বর্ষাকালে দই খাওয়া কী ক্ষতিকর?

  • আপডেট সময় : ১০:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দই একটি অত্যন্ত উপকারী দুগ্ধজাত খাবার। এতে এমন কিছু জরুরি ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা শরীর সুস্থ রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এহেন উপকারী এক দুগ্ধজাত খাবারকে নিয়েও বিভ্রান্তি কম নেই। এই যেমন অনেকেই মনে করেন, বর্ষাকালে দই খাওয়া নাকি উচিত নয়। এই আবহাওয়ায় দই খেলে নাকি ঠান্ডা লাগা এবং বদহজমের মতো সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এসব ধারণার পেছনে কোনো বিজ্ঞানসম্মন যুক্তি রয়েছে? নাকি গোটাটাই ভ্রান্ত ধারণা? চলুন জেনে আসি কী বলছেন পুষ্টিবিদরা।
বর্ষায় দই খেলে কি ঠান্ডা লাগে? পুষ্টিবিদদের কথায়, দইয়ের মতো উপকারী দুগ্ধজাত খাবার খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ল্যাকটোব্যাসিলাসের প্রাচুর্য। এই দুই উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই বর্ষাকালে দই খেলে ঠান্ডা লাগা তো দূর, সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো সমস্যা কাছে ঘেঁষতেও ভয় পাবে। অতএব বাদল দিনে ঠান্ডা লাগার ভয়ে দই খাওয়া ছাড়লে এর থেকে বড় ভুল আর কিছুই হতে পারে না।
ফ্রিজের দই খেলেই বিপত্তি: অনেকেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বের করে সরাসরি খেয়ে নেন। এই ভুলটা করেন বলেই তাদের ঠান্ডা লেগে যায়। তাই এবার থেকে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বের করে সরাসরি গলায় চালান করার ভুল করবেন না। বরং ফ্রিজ থেকে দই বের করে কিছুটা সময় রেখে দিন। তারপরই চেখে দেখুন।
পেটের সমস্যায় পড়তে হবে কিনা: পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দইয়ে রয়েছে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাসের প্রাচুর্য। তাই নিয়মিত দই খেলে যে পেটের সমস্যা কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে বাদল দিনেও নিয়মিত দই খান। তাহলেই সুফল মিলবে হাতেনাতে।
দিনে কতটা দই খাওয়া উচিত: দিনে ১ বাটি বা ১০০ গ্রাম দই খেতেই পারেন। এই পরিমাণে দই প্রতিদিন পেটে চালান করলেই হাড়ের জোর বাড়বে, পেটের স্বাস্থ্য ফিরবে এবং ইমিউনিটি হবে চাঙ্গা। তাই নিয়মিত দই খাওয়া চালিয়ে যান। তবে দোকানের মিষ্টি বা টক দই খেলে কিন্তু উপকার মিলবে না। কারণ এসব দইতে ফ্যাটের আধিক্য থাকে। তাই সুস্থ থাকতে বাড়িতে দই পেতে খাওয়াই উত্তম।
কারা দই খাবেন না: সবাই দই খেতে পারেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছুজনের দইতে অ্যালার্জি থাকে। দই খাওয়া মাত্রই তাদের গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা পেট ফাঁপার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই বর্ষা কেন, তাদের কোনো ঋতুতেই দই খাওয়া উচিত নয়।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বর্ষাকালে দই খাওয়া কী ক্ষতিকর?

আপডেট সময় : ১০:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক : দই একটি অত্যন্ত উপকারী দুগ্ধজাত খাবার। এতে এমন কিছু জরুরি ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা শরীর সুস্থ রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই নিয়মিত দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এহেন উপকারী এক দুগ্ধজাত খাবারকে নিয়েও বিভ্রান্তি কম নেই। এই যেমন অনেকেই মনে করেন, বর্ষাকালে দই খাওয়া নাকি উচিত নয়। এই আবহাওয়ায় দই খেলে নাকি ঠান্ডা লাগা এবং বদহজমের মতো সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এসব ধারণার পেছনে কোনো বিজ্ঞানসম্মন যুক্তি রয়েছে? নাকি গোটাটাই ভ্রান্ত ধারণা? চলুন জেনে আসি কী বলছেন পুষ্টিবিদরা।
বর্ষায় দই খেলে কি ঠান্ডা লাগে? পুষ্টিবিদদের কথায়, দইয়ের মতো উপকারী দুগ্ধজাত খাবার খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ল্যাকটোব্যাসিলাসের প্রাচুর্য। এই দুই উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই বর্ষাকালে দই খেলে ঠান্ডা লাগা তো দূর, সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো সমস্যা কাছে ঘেঁষতেও ভয় পাবে। অতএব বাদল দিনে ঠান্ডা লাগার ভয়ে দই খাওয়া ছাড়লে এর থেকে বড় ভুল আর কিছুই হতে পারে না।
ফ্রিজের দই খেলেই বিপত্তি: অনেকেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বের করে সরাসরি খেয়ে নেন। এই ভুলটা করেন বলেই তাদের ঠান্ডা লেগে যায়। তাই এবার থেকে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দই বের করে সরাসরি গলায় চালান করার ভুল করবেন না। বরং ফ্রিজ থেকে দই বের করে কিছুটা সময় রেখে দিন। তারপরই চেখে দেখুন।
পেটের সমস্যায় পড়তে হবে কিনা: পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দইয়ে রয়েছে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাসের প্রাচুর্য। তাই নিয়মিত দই খেলে যে পেটের সমস্যা কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে বাদল দিনেও নিয়মিত দই খান। তাহলেই সুফল মিলবে হাতেনাতে।
দিনে কতটা দই খাওয়া উচিত: দিনে ১ বাটি বা ১০০ গ্রাম দই খেতেই পারেন। এই পরিমাণে দই প্রতিদিন পেটে চালান করলেই হাড়ের জোর বাড়বে, পেটের স্বাস্থ্য ফিরবে এবং ইমিউনিটি হবে চাঙ্গা। তাই নিয়মিত দই খাওয়া চালিয়ে যান। তবে দোকানের মিষ্টি বা টক দই খেলে কিন্তু উপকার মিলবে না। কারণ এসব দইতে ফ্যাটের আধিক্য থাকে। তাই সুস্থ থাকতে বাড়িতে দই পেতে খাওয়াই উত্তম।
কারা দই খাবেন না: সবাই দই খেতে পারেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছুজনের দইতে অ্যালার্জি থাকে। দই খাওয়া মাত্রই তাদের গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা পেট ফাঁপার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই বর্ষা কেন, তাদের কোনো ঋতুতেই দই খাওয়া উচিত নয়।