ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার : নানা সংকট পেরিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আজকের (পহেলা ফাল্গুন) এই দিনে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এর আগে গতকাল রোববার ২৮ দিন পর উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে অফিস করেন।
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ১০টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় এবং শোভাযাত্রা শেষে ১০টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে কেক কাটে প্রশাসন।
এসময় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়। সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। এবছর চারটি বড় বাস কেনা হবে, টং আধুনিক করা হবে, খাবারের সমস্যা থাকবে না। হল ও ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। করোনার সময় মোবাইল ডাটা দিয়েছি। গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে আরও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
ভিসি আরও বলেন, অন্যায় আবদার করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাথা নত করবে না, একজনও যদি ন্যায্য কথা বলে তাহলে আমরা গুরুত্ব দিয়ে এটা সমাধানের ব্যবস্থা করবো। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না। আমরা ন্যায় এবং সত্যের পথে থাকবো। আপনারা দেখতে পেয়েছেন সত্য এবং ন্যায় আজকে বিজয়ী হয়েছে, টিকে আছে। মিথ্যা আজকে পরাভূত হয়েছে। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে এমন একটি আলোকজ্বল দিন এসেছে, এতে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী ভুল করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। তোমরা আমাদের সন্তান, অভিভাবক হিসেবে আমরা কাজ করে যাবো। শিক্ষার্থীদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই, শিক্ষকরা অভিভাবকের জায়গা থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। সীমানা প্রাচীর করেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। এই বছরের মধ্যে ৫০০ শিক্ষার্থীর হলে আবাসিকভাবে ব্যবস্থা হবে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে শতভাগ ছাত্রী হলে থাকতে পারবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শতভাগ ডিজিটাল ক্যাম্পাস করা হবে।
এদিকে গতকাল রোববার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল আজ সোমবার থেকে খোলা হয় এবং মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনলাইনে ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলার পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য পদত্যাগের আন্দোলন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায় এবং ভিসি বাস ভবনে থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যান। এরপর গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে শনিবার তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।