ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে দুইটি ‘আফসোস’ রয়ে গেছে টেন্ডুলকারের

  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: তর্কযোগ্যভাবে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় শচিন টেন্ডুলকার। ভারতে রীতিমতো ক্রিকেট ঈশ্বর হিসেবেই মানা হয় মাস্টার ব্লাস্টারখ্যাত এ ব্যাটসম্যানকে। একশ সেঞ্চুরি, দুইশ টেস্ট ম্যাচ, ৩৪ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান, ২৪ বছরের ক্যারিয়ার- ক্রিকেটের প্রায় সব বড় রেকর্ডই নিজের দখলে রেখেছেন শচিন।
তিন ফরম্যাট মিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ৬৬৪ ম্যাচ। তার চেয়ে বেশি খেলেনি আর কেউ। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, ১৮ হাজারের বেশি রান রয়েছে তার নামের পাশে। টেস্ট ফরম্যাটে ৫১ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১৫ হাজারের বেশি রান। একশ সেঞ্চুরি ছাড়াও রয়েছে ১৬৪ হাফসেঞ্চুরি।
শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপাও। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ এক ক্যারিয়ারই শচিনের। তবু নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে দুইটি আফসোস-আক্ষেপ রয়েই গেছে ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বরের। সম্প্রতি ক্রিকেট ডট কমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সেই কথা। তবে কোনো প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির আফসোস নয় শচিনের।
বরং ভারতেরই আরেক কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার এবং নিজের ছেলেবেলার নায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে খেলতে না পারার আফসোসে পোড়েন শচিন। এতে তার নিজেরও অবশ্য দায় নেই। কারণ শচিনের ক্যারিয়ার শুরু হতে হতে গাভাস্কার ও রিচার্ডস পৌঁছে গেছিলেন নিজেদের ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে।
এদের কথা জানিয়ে শচিন বলেছেন, ‘আমার দুইটি আফসোস রয়েছে। প্রথমটা হলো আমি কোনোদিন সুনিল গাভাস্কারের সঙ্গে খেলতে পারিনি। আমি যখন বড় হই, তখন গাভাস্কারই ছিলেন আমার ব্যাটিংয়ের নায়ক। তার সঙ্গে এক দলে খেলতে না পারা আমার বড় আফসোস। আমার অভিষেকের কয়েক বছর আগেই তিনি অবসরে যান।’
দ্বিতীয় আফসোসের ব্যাপারে তার ভাষ্য, ‘আমার অন্য আফসোস হলো, ছেলেবেলার নায়ক স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের বিপক্ষে খেলতে না পারা। কাউন্টি ক্রিকেটে তার বিপক্ষে খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে না পারার আফসোস এখনও পড়ায় আমাকে। যদি স্যার ভিভ ১৯৯১ সালে অবসর নিয়েছেন কিন্তু আমাদের কখনও মুখোমুখি দেখা হয়নি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে দুইটি ‘আফসোস’ রয়ে গেছে টেন্ডুলকারের

আপডেট সময় : ১০:৫৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক: তর্কযোগ্যভাবে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় শচিন টেন্ডুলকার। ভারতে রীতিমতো ক্রিকেট ঈশ্বর হিসেবেই মানা হয় মাস্টার ব্লাস্টারখ্যাত এ ব্যাটসম্যানকে। একশ সেঞ্চুরি, দুইশ টেস্ট ম্যাচ, ৩৪ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান, ২৪ বছরের ক্যারিয়ার- ক্রিকেটের প্রায় সব বড় রেকর্ডই নিজের দখলে রেখেছেন শচিন।
তিন ফরম্যাট মিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ৬৬৪ ম্যাচ। তার চেয়ে বেশি খেলেনি আর কেউ। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, ১৮ হাজারের বেশি রান রয়েছে তার নামের পাশে। টেস্ট ফরম্যাটে ৫১ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১৫ হাজারের বেশি রান। একশ সেঞ্চুরি ছাড়াও রয়েছে ১৬৪ হাফসেঞ্চুরি।
শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপাও। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ এক ক্যারিয়ারই শচিনের। তবু নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে দুইটি আফসোস-আক্ষেপ রয়েই গেছে ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বরের। সম্প্রতি ক্রিকেট ডট কমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সেই কথা। তবে কোনো প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির আফসোস নয় শচিনের।
বরং ভারতেরই আরেক কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার এবং নিজের ছেলেবেলার নায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে খেলতে না পারার আফসোসে পোড়েন শচিন। এতে তার নিজেরও অবশ্য দায় নেই। কারণ শচিনের ক্যারিয়ার শুরু হতে হতে গাভাস্কার ও রিচার্ডস পৌঁছে গেছিলেন নিজেদের ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে।
এদের কথা জানিয়ে শচিন বলেছেন, ‘আমার দুইটি আফসোস রয়েছে। প্রথমটা হলো আমি কোনোদিন সুনিল গাভাস্কারের সঙ্গে খেলতে পারিনি। আমি যখন বড় হই, তখন গাভাস্কারই ছিলেন আমার ব্যাটিংয়ের নায়ক। তার সঙ্গে এক দলে খেলতে না পারা আমার বড় আফসোস। আমার অভিষেকের কয়েক বছর আগেই তিনি অবসরে যান।’
দ্বিতীয় আফসোসের ব্যাপারে তার ভাষ্য, ‘আমার অন্য আফসোস হলো, ছেলেবেলার নায়ক স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের বিপক্ষে খেলতে না পারা। কাউন্টি ক্রিকেটে তার বিপক্ষে খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে না পারার আফসোস এখনও পড়ায় আমাকে। যদি স্যার ভিভ ১৯৯১ সালে অবসর নিয়েছেন কিন্তু আমাদের কখনও মুখোমুখি দেখা হয়নি।’