ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই

  • আপডেট সময় : ০২:৩১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্যাতিমান সম্পাদক তোয়াব খানের জীবনাবসান ঘটেছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব ছিলেন। তোয়াব খানের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে তার সম্পাদিত দৈনিক বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তোয়াব খান। তবে সেরে উঠেছিলেন তিনি। তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, “তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম জগতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।”
তোয়াব খান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পি-ির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। স্বাধীনতার পরে দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশনার জগতে একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
মেয়ে দেশে ফিরলে তোয়াব খানের দাফন : বঙ্গবন্ধুর সাবেক প্রেস সচিব ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক সাংবাদিক তোয়াব খানের মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার ওপর নির্ভর করছে তার দাফনের দিনক্ষণ। পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু জানান, সাংবাদিক তোয়াব খানের একমাত্র মেয়ে তানিয়া খান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি সেখান থেকে ফেরার পর তাকে দাফন করা হবে। এদিকে তানিয়া খানের দেশে পৌঁছানো নির্ভর করছে টিকিট পাওয়ার ওপর। তোয়াব খানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই

আপডেট সময় : ০২:৩১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্যাতিমান সম্পাদক তোয়াব খানের জীবনাবসান ঘটেছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব ছিলেন। তোয়াব খানের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে তার সম্পাদিত দৈনিক বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তোয়াব খান। তবে সেরে উঠেছিলেন তিনি। তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, “তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম জগতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।”
তোয়াব খান ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পি-ির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। স্বাধীনতার পরে দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশনার জগতে একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
মেয়ে দেশে ফিরলে তোয়াব খানের দাফন : বঙ্গবন্ধুর সাবেক প্রেস সচিব ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক সাংবাদিক তোয়াব খানের মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার ওপর নির্ভর করছে তার দাফনের দিনক্ষণ। পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু জানান, সাংবাদিক তোয়াব খানের একমাত্র মেয়ে তানিয়া খান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি সেখান থেকে ফেরার পর তাকে দাফন করা হবে। এদিকে তানিয়া খানের দেশে পৌঁছানো নির্ভর করছে টিকিট পাওয়ার ওপর। তোয়াব খানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।