ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সংবাদদাতা : বরিশাল-৫ সদর আসন প্রতিটি গ্রাম ও শহর এলাকা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ যাত্রার এমন উদাহরণ হবে এমনকি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদানসহ ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপন।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করেন। ১৯ দফা ইশতেহারে সালাহউদ্দিন রিপন বলেন, এই আসনের আওতায় সকল ইউনিয়ন এবং সিটি এলাকাকে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই আমি আজ নির্বাচনি মাঠে। নির্বাচিত হলে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ যুক্ত করে এই আসনের মানুষের জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। আমার নীতি হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। নির্বাচিত হলে আমার প্রতিটি পদক্ষেপে ছাপ দেখতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বরিশাল-৫ (সদর) আসনটিকে স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট নগরায়ণের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে আমি গোটা দেশে পরিচিত করে তুলতে চাই। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেবো এর মধ্যে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান। আমি বরিশালের অনেক স্থানে গিয়েছি যেখানে দেখেছি নি¤œআয়ের অনেক মানুষ তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারছে না। যার ফলে এসব খেটে খাওয়া নি¤œআয়ের মানুষের সন্তানরা অশিক্ষিত রয়ে যায়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই আসনের সকল ইউনিয়ন এবং সিটি এলাকাতে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে আর্থিক সহায়তা, বোর্ড ফি প্রদান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপকভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখবো। এছাড়াও বর্তমানে অনেক মায়েরাই জরায়ুর মতো ক্যান্সারে ভুগছে। অনেকে লজ্জায় বলতে পারে না এমনি এ রোগটির কারণে অনেক মায়ের সংসার ভেঙে যায়। এর মধ্যে যারা আবার নি¤œআয়ের তারা চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। এর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবো। আমি নির্বাচিত হলে সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। সরকারের নানা উদ্যোগের মধ্যে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান করা হয়। এখানে যাতে সঠিক ভাবে এবং সঠিক মানুষকে এ সেবা দেয়া যায় আমি এটির উপর বিশেষভাবে জোর দেবো। এ সময় তিনি তার ইশতেহারে আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারীমুক্ত সমাজ গঠন, সেবা অ্যাপ চালু করা, খেলাধুলায় উৎকর্ষ সাধন, পার্ক, জলাশয় ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা, উন্নত কৃষি ব্যবস্থা, দারিদ্র বিমোচন করা, গৃহ মেরামত ও নির্মাণে সহায়তা, ধর্মীয় সহায়তা, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের পুনর্বাসন, জেলে পল্লীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও সর্বোপরি ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হবে আমার প্রধান কাজ। আমার লক্ষ্য বরিশাল সদর-৫ (সদর) আসনটির অর্ন্তভুক্ত প্রতিটি এলাকাকে নিরাপদ ও শান্তিময় আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলা। নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণ আমার স্বপ্ন। আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদেরকেও এই স্বপ্নের যাত্রার সারথি হতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা

আপডেট সময় : ১১:৩৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

বরিশাল সংবাদদাতা : বরিশাল-৫ সদর আসন প্রতিটি গ্রাম ও শহর এলাকা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ যাত্রার এমন উদাহরণ হবে এমনকি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদানসহ ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপন।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করেন। ১৯ দফা ইশতেহারে সালাহউদ্দিন রিপন বলেন, এই আসনের আওতায় সকল ইউনিয়ন এবং সিটি এলাকাকে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই আমি আজ নির্বাচনি মাঠে। নির্বাচিত হলে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ যুক্ত করে এই আসনের মানুষের জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। আমার নীতি হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। নির্বাচিত হলে আমার প্রতিটি পদক্ষেপে ছাপ দেখতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বরিশাল-৫ (সদর) আসনটিকে স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট নগরায়ণের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে আমি গোটা দেশে পরিচিত করে তুলতে চাই। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেবো এর মধ্যে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান। আমি বরিশালের অনেক স্থানে গিয়েছি যেখানে দেখেছি নি¤œআয়ের অনেক মানুষ তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারছে না। যার ফলে এসব খেটে খাওয়া নি¤œআয়ের মানুষের সন্তানরা অশিক্ষিত রয়ে যায়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই আসনের সকল ইউনিয়ন এবং সিটি এলাকাতে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে আর্থিক সহায়তা, বোর্ড ফি প্রদান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপকভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখবো। এছাড়াও বর্তমানে অনেক মায়েরাই জরায়ুর মতো ক্যান্সারে ভুগছে। অনেকে লজ্জায় বলতে পারে না এমনি এ রোগটির কারণে অনেক মায়ের সংসার ভেঙে যায়। এর মধ্যে যারা আবার নি¤œআয়ের তারা চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। এর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবো। আমি নির্বাচিত হলে সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। সরকারের নানা উদ্যোগের মধ্যে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান করা হয়। এখানে যাতে সঠিক ভাবে এবং সঠিক মানুষকে এ সেবা দেয়া যায় আমি এটির উপর বিশেষভাবে জোর দেবো। এ সময় তিনি তার ইশতেহারে আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারীমুক্ত সমাজ গঠন, সেবা অ্যাপ চালু করা, খেলাধুলায় উৎকর্ষ সাধন, পার্ক, জলাশয় ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা, উন্নত কৃষি ব্যবস্থা, দারিদ্র বিমোচন করা, গৃহ মেরামত ও নির্মাণে সহায়তা, ধর্মীয় সহায়তা, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের পুনর্বাসন, জেলে পল্লীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও সর্বোপরি ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হবে আমার প্রধান কাজ। আমার লক্ষ্য বরিশাল সদর-৫ (সদর) আসনটির অর্ন্তভুক্ত প্রতিটি এলাকাকে নিরাপদ ও শান্তিময় আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলা। নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণ আমার স্বপ্ন। আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদেরকেও এই স্বপ্নের যাত্রার সারথি হতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।