বরিশাল সংবাদদতা: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঋণের কিস্তির টাকার পরিবর্তে জোরপূর্বক গৃহবধূর চীনা হাঁস নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এনজিও। ঘটনার চার দিন পর সেই হাঁস ফেরত পেয়েছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ হাফিজা বেগম। একইসঙ্গে এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) টিএমএসএস (TMSS) এনজিওর গৌরনদী শাখার কর্মকর্তারা উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে হাঁসটি ফেরত দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী শাখার ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম, ফিল্ড সুপারভাইজার মো. আরাফাত ও মো. সুজন মিয়া।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ই ডিসেম্বর। জানা গেছে, সেদিন কিস্তির ১ হাজার ৩২০ টাকা আদায়ের জন্য হাফিজা বেগমের বাড়িতে যান মাঠকর্মী ফিরোজ খান।
হাফিজা বেগম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, ফিরোজ খান তার উঠান থেকে একটি চীনা হাঁস ধরে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা দ্রুত ভাইরাল হয় ও জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
সমালোচনার মুখে টিএমএসএস এনজিওর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয়। শনিবার সকালেই এনজিওটির বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চার সদস্যের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল সরেজমিনে তদন্তে যান। তাঁরা ভুক্তভোগী হাফিজা বেগম, তার স্বামী মুরাদ হোসেন এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্তে মাঠকর্মী ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনজিও কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অভিযুক্ত ফিরোজ খানকে গত ১১ই ডিসেম্বর তারিখ থেকে কার্যকর হিসেবে দেখিয়ে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। কিস্তির টাকার জন্য এমন অমানবিক আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
ওআ/আপ্র/১৪/১২/২০২৫





















