ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

বরিশালে কমেছে সবজির দাম

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সংবাদদাতা: বরিশালে সরবরাহ বাড়ায় ১০-২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ পাইকারি ১০০-১২০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে প্রকারভেদে ১৯০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে সরবরাহ বাড়লে কয়েকদিনের মধ্যেই কাঁচামরিচের দাম কমবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে বরিশাল নগরীর একমাত্র পাইকারি সবজির বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে শিম ৭০-৭৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৬০ টাকা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে‌। বাঁধাকপি গত সপ্তাহে ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫ টাকা, ফুলকপি গত সপ্তাহে ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪০ টাকা, মুলা গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা, টমেটো গত সপ্তাহে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সবজির দামও কমেছে তুলনামূলকভাবে।

এরমধ্যে পাইকারি বাজারে রেখা ৩০-৩৫ টাকা, পটল গত সপ্তাহে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৩৫ টাকা, করলা গত সপ্তাহে ৬৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫০ টাকা, শসা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৩৫ টাকা, বরবটি গত সপ্তাহে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২০-২৫ টাকা, কাঁচাকলা হালি ১৫ টাকা, লেবু হালি ১০-১২ টাকা, বেগুন গত সপ্তাহে ৬৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম কিছুটা চড়া ছিল। এখন সব ধরনের সবজি বাজারে উঠেছে, তাই দামও কমেছে। সবজির দাম কিছু দিনের মধ্যে আরো দাম কমবে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পাইকারি বাজার থেকে কিনে খুচরা বাজারে বিভিন্ন দোহাই দিয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পোর্ট রোড বাজার, বাংলাবাজার বাজার, সাগরদী বাজারসহ বেশ কিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ১৫০-২২০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, রেখা ৬০ টাকা‌, করলা ৬০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৫৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০-৩৫ টাকা, লাউ ৩৫ টাকা, কাঁচাকলা হালি ২৫ টাকা, লেবু হালি ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা দরে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে বিভিন্ন মাছ গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, পাঙাশ মাছ ১৮০-২২০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫৫০-৮৫০ টাকা, পাবদা ২৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা।

নগরীর বাংলাবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা তৌহিদ জানান, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা সবজির দাম কিছুটা বেশি হবে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে লেবার খরচ, ভ্যান ভাড়া দিয়ে সবজি আনতে হয়। তার মধ্যে বৃষ্টির কারণে সব জায়গাতেই খরচ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। পরে বাজারে বিক্রি করতে হলে ইজারা, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। তাই খুচরা বাজারে সবজি কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এসি/আপ্র/২৪/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র

বরিশালে কমেছে সবজির দাম

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

বরিশাল সংবাদদাতা: বরিশালে সরবরাহ বাড়ায় ১০-২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ পাইকারি ১০০-১২০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে প্রকারভেদে ১৯০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে সরবরাহ বাড়লে কয়েকদিনের মধ্যেই কাঁচামরিচের দাম কমবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে বরিশাল নগরীর একমাত্র পাইকারি সবজির বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে শিম ৭০-৭৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৬০ টাকা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে‌। বাঁধাকপি গত সপ্তাহে ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫ টাকা, ফুলকপি গত সপ্তাহে ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪০ টাকা, মুলা গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা, টমেটো গত সপ্তাহে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সবজির দামও কমেছে তুলনামূলকভাবে।

এরমধ্যে পাইকারি বাজারে রেখা ৩০-৩৫ টাকা, পটল গত সপ্তাহে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৩৫ টাকা, করলা গত সপ্তাহে ৬৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫০ টাকা, শসা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৩৫ টাকা, বরবটি গত সপ্তাহে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২০-২৫ টাকা, কাঁচাকলা হালি ১৫ টাকা, লেবু হালি ১০-১২ টাকা, বেগুন গত সপ্তাহে ৬৫ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম কিছুটা চড়া ছিল। এখন সব ধরনের সবজি বাজারে উঠেছে, তাই দামও কমেছে। সবজির দাম কিছু দিনের মধ্যে আরো দাম কমবে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পাইকারি বাজার থেকে কিনে খুচরা বাজারে বিভিন্ন দোহাই দিয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পোর্ট রোড বাজার, বাংলাবাজার বাজার, সাগরদী বাজারসহ বেশ কিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ১৫০-২২০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, রেখা ৬০ টাকা‌, করলা ৬০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৫৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০-৩৫ টাকা, লাউ ৩৫ টাকা, কাঁচাকলা হালি ২৫ টাকা, লেবু হালি ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা দরে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে বিভিন্ন মাছ গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, পাঙাশ মাছ ১৮০-২২০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫৫০-৮৫০ টাকা, পাবদা ২৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা।

নগরীর বাংলাবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা তৌহিদ জানান, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা সবজির দাম কিছুটা বেশি হবে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে লেবার খরচ, ভ্যান ভাড়া দিয়ে সবজি আনতে হয়। তার মধ্যে বৃষ্টির কারণে সব জায়গাতেই খরচ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। পরে বাজারে বিক্রি করতে হলে ইজারা, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। তাই খুচরা বাজারে সবজি কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এসি/আপ্র/২৪/১১/২০২৫