মোয়াজ্জেম হোসেন
বরিশালে কথ্যভাষায় কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। যা বাংলাদেশের বাংলা অভিধানেও স্থান পেয়েছে। এই শব্দগুলো একান্তই বরিশাল এলাকার মানুষের মুখের কথা। এ পর্বে যে আঞ্চলিক শব্দগুলো দেয়া হলো তা মূলত বরিশালের উজিরপুর উপজেলা থেকেই সংগৃহিত।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শব্দগুলো সংগ্রহ করেছেন আমরা উজিরপুরের সন্তান (আউস)-এর অন্যতম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, জয়শ্রী, শিকারপুর, উজিরপুর, বরিশাল।
অ-
১. অমান-দৈব ক্ষমতা।
২. অহনে-এখন
৩. অলমবুশ- বোকা, মোটাসোটা অর্থে।
৪. অউদ্যা বাইঙ-বাইন মাছ, যা গর্তে থাকে এবং একটু মোটা হয়।
৫. অ্যাউত্তয়া-মাটির পাত্র।
৬. অইলদা-হলুদ রঙয়ের।
৭. অগা- বোকা/বোগ্দা।
৮. অজকোট-হাটু পর্যন্ত বিস্তৃত কোট।
৯. অদেসটো-অদৃষ্ট/ভাগ্য।
১০. অজামাক্কা- হাবাগোবা
আ-
১১. আমুহানে-পরে আসব।
১২. আইচা-নারকেলের খোল বা খোসা।
১৩. আমতা আমতা-ইতস্তঃত করা
১৪. আইস্যা/আইসক্যা-আসার পরে। (সাতলা, হারতা ও এলাকার হিন্দু খৃস্টান ধর্মাবলম্বীরা আইসক্যা শব্দটি ব্যবহার করে)
থাকেন।
১৫. আইড্যা ক্যালা/দয়াক্যালা-বীচি কলা।
১৬. আউগারি-অগ্রিম।
১৭. আন্দাজ/আন্দাইজা-অনুমান।
১৮. আছারি-দা, বটি, কুঠার, কোদাল ইত্যাদির ধরনি।
১৯. আনাচ–তরকারি।
২০. আদত-আসল/মূল।
২১. আক্কল দাঁত-চোয়ালের শেষ দাঁত (অনেকে এটাকে বুদ্ধির দাঁত বলে)
২২. আহালি-চালের ভিতরের পাথর বা শক্ত অংশ।
২৩. আরহুলি–ঢেঁকির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২৪. আল্লাদি-আদুরে।
২৫. আরা-কাঠের ঘরের অংশ, যাহার উপরে পাটাতন খিলানো হয়। কাপড়-চোপড় রোদ দেয়ার বাঁশ।
২৬. আচরা-ঘাস উঠানোর এক প্রকার চাষের উপকরণ
২৭ আউক-ইক্ষু।
২৮. আহাল-দুর্ভিক্ষ।
২৯. আদার-পাখির খাদ্য।
৩০. আন্ডা-ডিম।
৩১. আসকারা-সাহস।
৩২. আঙ্গার- জলন্ত কয়লা।
৩৩. আগিলা -আগের/পুরনো দিন।
৩৪. আবডাল-আড়াল।
৩৫. আখাজা-অভদ্র।
৩৬. আদরা-খাদরা-অসমতল
৩৭. আমলহি-আমলকি
৩৮. আম্বুল-জামরুল।
৩৯. আইজগো/আইজগা-আজকে (উজিরপুরের সাতলা, জল্লা, হারতা ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়সহ ওই এলাকার লোকজনকে শব্দের শেষে ‘গা’ ব্যবহার করতে দেখা যায়।
সংগ্রহকারী: মোয়াজ্জেম হোসেন
সংগ্রহের স্থান: উজিরপুর উপজেলা
সংগ্রহের সময়-২৪-০৪-২০২১ ইংরেজি
মোয়াজ্জেম হোসেন
০১৭১১১৮৩৭৬৬, ০১৩০৩০৩৯৬১৭