ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

বরগুনা-১ আসনের প্রার্থী শম্ভুকে আবারও শোকজ

  • আপডেট সময় : ১১:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফেক বলায় বরগুনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে শোকজ করেছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। একই সঙ্গে যে জনসভায় তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না তাও পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছে ওই কমিটি।
গতকার রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখা জানিয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আহমদ সাঈদ শম্ভুকে শোকজ করেছেন। সম্প্রতি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে নির্বাচন কমিশন। এক পত্রিকার খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে শম্ভুকে দেওয়া শোকজ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বরগুনা-১ আসনের তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জনসভায় প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফেক বলে মন্তব্য করেন। জনসভায় তিনি বলেন, ‘যারা বলে উন্নয়ন হয়নি তারা ইডিয়ট, সব মোনাফিকি কথা, ইবলিশের কথা, এই ইবলিশ শব্দটি হলো আল্লাহর কথা, আর আমাদের ভাষায় হলো শয়তান, আমি আল্লাহর ভাষায় তাদের ইবলিশ বলব। এই ইবলিশদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। ভোট কি চাইলেই দিয়ে দেবে, আমার আমলে এই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, অনেক রাস্তাঘাট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পশু হাসপাতাল ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে, গ্রামীণ রাস্তাঘাটের জন্য আমি সাড়ে সাতশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি, কে বলেছে উন্নয়ন হয়নি, যারা বলেছে উন্নয়ন হয়নি তারা ইবলিশ (শয়তান)। আপনার বিরুদ্ধে ওই পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৩ (৩)(ক) ধারা এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১(ক) বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় আপনি নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আপনার লিখিত বক্তব্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দাখিল করিতে আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বরগুনা-১ আসনের প্রার্থী শম্ভুকে আবারও শোকজ

আপডেট সময় : ১১:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফেক বলায় বরগুনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে শোকজ করেছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। একই সঙ্গে যে জনসভায় তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন তার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না তাও পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছে ওই কমিটি।
গতকার রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখা জানিয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আহমদ সাঈদ শম্ভুকে শোকজ করেছেন। সম্প্রতি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে নির্বাচন কমিশন। এক পত্রিকার খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে শম্ভুকে দেওয়া শোকজ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বরগুনা-১ আসনের তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জনসভায় প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফেক বলে মন্তব্য করেন। জনসভায় তিনি বলেন, ‘যারা বলে উন্নয়ন হয়নি তারা ইডিয়ট, সব মোনাফিকি কথা, ইবলিশের কথা, এই ইবলিশ শব্দটি হলো আল্লাহর কথা, আর আমাদের ভাষায় হলো শয়তান, আমি আল্লাহর ভাষায় তাদের ইবলিশ বলব। এই ইবলিশদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। ভোট কি চাইলেই দিয়ে দেবে, আমার আমলে এই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, অনেক রাস্তাঘাট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পশু হাসপাতাল ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে, গ্রামীণ রাস্তাঘাটের জন্য আমি সাড়ে সাতশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি, কে বলেছে উন্নয়ন হয়নি, যারা বলেছে উন্নয়ন হয়নি তারা ইবলিশ (শয়তান)। আপনার বিরুদ্ধে ওই পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৩ (৩)(ক) ধারা এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১(ক) বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় আপনি নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আপনার লিখিত বক্তব্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দাখিল করিতে আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।