ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগে মাছ ও ফসলের উৎপাদন বেড়েছে

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে


কৃষি ডেস্ক : বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগে কয়েক বছর ধরে খাদ্যশস্য চাল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। নদী, সাগর থেকে আহরন করা ও মিঠা পানির মাছের পরিমাণও চাহিদার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি পাওয়া গেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তিন ফসল মিলিয়ে এই বিভাগে প্রায় ৩১ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। একইভাবে দেশের ৮০ ভাগ মুগ ডাল, ৬৫ ভাগ তরমুজ উৎপাদন হয় এই বিভাগে। চলতি বছর বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ টন চাল। মুগ আবাদ হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টরে। লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ লাখে টন। এ ছাড়া ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে রবি আবাদ হয়েছে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিমুর রহমান জানান, জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। তাই এটা রোধে দ্রুত সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শুধু কৃষি নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের মোট ইলিশের ৬৬ ভাগের জোগান দেয় বরিশাল অঞ্চল। একইভাবে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনেও এই বিভাগের অবদান অনেক। তবে লবনাক্ততার কারনে নদীতে নদী, খালে হঠাৎ করে মাছের প্রাপ্যতা কমে গিয়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান জেলেরা চরগড়া, কারেন্ট, বেহুন্দি এসব অবৈধ জালের ব্যবহার করায়, নদীতে চর পড়ে স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটায়, লোনা পানি, বৃষ্টি কম হওয়া, জেলের সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়াতে মাছের আধিক্য কমেছে। তবে আশা করছি বৃষ্টি হলেই কয়েক দিনের মধ্যে নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগে মাছ ও ফসলের উৎপাদন বেড়েছে

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১


কৃষি ডেস্ক : বরগুনাসহ বরিশাল বিভাগে কয়েক বছর ধরে খাদ্যশস্য চাল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। নদী, সাগর থেকে আহরন করা ও মিঠা পানির মাছের পরিমাণও চাহিদার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি পাওয়া গেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তিন ফসল মিলিয়ে এই বিভাগে প্রায় ৩১ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। একইভাবে দেশের ৮০ ভাগ মুগ ডাল, ৬৫ ভাগ তরমুজ উৎপাদন হয় এই বিভাগে। চলতি বছর বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ টন চাল। মুগ আবাদ হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টরে। লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ লাখে টন। এ ছাড়া ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে রবি আবাদ হয়েছে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিমুর রহমান জানান, জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। তাই এটা রোধে দ্রুত সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শুধু কৃষি নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের মোট ইলিশের ৬৬ ভাগের জোগান দেয় বরিশাল অঞ্চল। একইভাবে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনেও এই বিভাগের অবদান অনেক। তবে লবনাক্ততার কারনে নদীতে নদী, খালে হঠাৎ করে মাছের প্রাপ্যতা কমে গিয়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান জেলেরা চরগড়া, কারেন্ট, বেহুন্দি এসব অবৈধ জালের ব্যবহার করায়, নদীতে চর পড়ে স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটায়, লোনা পানি, বৃষ্টি কম হওয়া, জেলের সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়াতে মাছের আধিক্য কমেছে। তবে আশা করছি বৃষ্টি হলেই কয়েক দিনের মধ্যে নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে।