ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বন বিভাগের জনসচেতনতামূলক সভা

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে উপজেলা এসএফপিসি, উপকূলীয় বন বিভাগ আয়োজিত বিলুপ্ত প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সচেতনতা মূলক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে খাসেরহাট বাজার ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি হয়। উপজেলা বন কর্মকর্তা জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর তফসিল-১৮টি গণ ও ২৩টি প্রজাতি ও তফসিল-২১টি গণ ও ২৯টি প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষিত করা হয়েছে, যা ধরা মারা, ক্রয়-বিক্রয় আইনত নিষিদ্ধ। যদি মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা বুঝতে পারে যে বিপন্ন হাঙ্গর ও রে মাছ রক্ষার মাধ্যমে তারা তাদের জীবন-জীবিকা ও খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত হবে, তাহলে বাংলাদেশে হাঙ্গর ও রে মাছের অত্যধিক আহরণকে ভবিষ্যতে টেকসই সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ১১৬ প্রজাতির হাঙ্গর ও রে মাছের অর্ধেকেরও বেশি প্রজাতি বর্তমানে হুমকির মুখে। বন কর্মকর্তা বলেন, সামুদ্রিক প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং মানবজাতির জন্য একটি সুস্থ সাগর নিশ্চিত করতে হাঙ্গর ও রে মাছও গুরুত্বপূর্ণ।এসব সংরক্ষিত হাঙ্গর ও রে মাছের মত সামুদ্রিক প্রাণী ধরা, ক্রয়-বিক্রয় করা দ-নীয় অপরাধ। এ অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদ- অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম খলিল, সুবর্ণচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন ও হাবিবিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বন বিভাগের জনসচেতনতামূলক সভা

আপডেট সময় : ০১:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে উপজেলা এসএফপিসি, উপকূলীয় বন বিভাগ আয়োজিত বিলুপ্ত প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সচেতনতা মূলক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে খাসেরহাট বাজার ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি হয়। উপজেলা বন কর্মকর্তা জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর তফসিল-১৮টি গণ ও ২৩টি প্রজাতি ও তফসিল-২১টি গণ ও ২৯টি প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষিত করা হয়েছে, যা ধরা মারা, ক্রয়-বিক্রয় আইনত নিষিদ্ধ। যদি মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা বুঝতে পারে যে বিপন্ন হাঙ্গর ও রে মাছ রক্ষার মাধ্যমে তারা তাদের জীবন-জীবিকা ও খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত হবে, তাহলে বাংলাদেশে হাঙ্গর ও রে মাছের অত্যধিক আহরণকে ভবিষ্যতে টেকসই সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ১১৬ প্রজাতির হাঙ্গর ও রে মাছের অর্ধেকেরও বেশি প্রজাতি বর্তমানে হুমকির মুখে। বন কর্মকর্তা বলেন, সামুদ্রিক প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং মানবজাতির জন্য একটি সুস্থ সাগর নিশ্চিত করতে হাঙ্গর ও রে মাছও গুরুত্বপূর্ণ।এসব সংরক্ষিত হাঙ্গর ও রে মাছের মত সামুদ্রিক প্রাণী ধরা, ক্রয়-বিক্রয় করা দ-নীয় অপরাধ। এ অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদ- অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম খলিল, সুবর্ণচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন ও হাবিবিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান।