ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

বন্যায় ৫০৮৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত, এসএসসি পরীক্ষার কীভাবে?

  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৫টি স্কুল-কলেজ। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৮৫টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় চার হাজার। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন পাঠদান সম্ভব নয়। এ অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন বিভাগ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৮ জেলার ৮৬ উপজেলার এক হাজার ৮৫ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেটের ৩৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় সুনামগঞ্জের ২৬৫ ও তৃতীয় নেত্রকোনার ১৩৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ জন। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১৭টিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। বাকিগুলোর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে সম্ভব আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে আংশিক পাঠদান সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদের পরপরই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের উপযোগী না হওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে। দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার অথবা এসএসসির কেন্দ্র কমানো ছাড়া ঈদের পরপরই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে।
মাউশির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে ৩৪২, সুনামগঞ্জে ২৬৫, নেত্রকোনায় ১৩৬, কুড়িগ্রামে ৯৯, মৌলভীবাজারে ৪০, টাঙ্গাইলে ৩৯, হবিগঞ্জে ৩৫, কিশোরগঞ্জে ৩২, জামালপুরে ২৮, গাইবান্ধায় ২১, সিরাজগঞ্জে ২১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭, লালমনিরহাটে ৬, বগুড়ায় ৮, ময়মনসিংহে ২, মানিকগঞ্জে ২, শেরপুরে ১ ও নরসিংদীতে ১টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া পাঠদান সম্ভব নয় এমন জেলার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে সিলেট। সেখানে ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানে এ মুহূর্তে পাঠদান সম্ভব নয়। সুনামগঞ্জের ২৮৮টি সবগুলোতেই পাঠদান সম্ভব নয়। এছাড়া নেত্রকোনার ১২২, মৌলভীবাজারের ৪০, কুড়িগ্রামের ৫৫, হবিগঞ্জের ৩৫, কিশোরগঞ্জের ৩২, জামালপুরের ২৮, সিরাজগঞ্জের ১৮টিতে পাঠদানের উপযোগিতা নেই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭ জেলার ১৪৫ উপজেলার প্রায় চার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেক স্কুলে এখনো পানি রয়েছে। বন্যার পানি পুরোপুরিভাবে নেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয়।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বন্যায় ৫০৮৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত, এসএসসি পরীক্ষার কীভাবে?

আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৫টি স্কুল-কলেজ। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৮৫টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় চার হাজার। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন পাঠদান সম্ভব নয়। এ অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন বিভাগ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৮ জেলার ৮৬ উপজেলার এক হাজার ৮৫ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেটের ৩৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় সুনামগঞ্জের ২৬৫ ও তৃতীয় নেত্রকোনার ১৩৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ জন। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১৭টিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। বাকিগুলোর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে সম্ভব আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে আংশিক পাঠদান সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদের পরপরই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের উপযোগী না হওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে। দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার অথবা এসএসসির কেন্দ্র কমানো ছাড়া ঈদের পরপরই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে।
মাউশির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে ৩৪২, সুনামগঞ্জে ২৬৫, নেত্রকোনায় ১৩৬, কুড়িগ্রামে ৯৯, মৌলভীবাজারে ৪০, টাঙ্গাইলে ৩৯, হবিগঞ্জে ৩৫, কিশোরগঞ্জে ৩২, জামালপুরে ২৮, গাইবান্ধায় ২১, সিরাজগঞ্জে ২১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭, লালমনিরহাটে ৬, বগুড়ায় ৮, ময়মনসিংহে ২, মানিকগঞ্জে ২, শেরপুরে ১ ও নরসিংদীতে ১টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া পাঠদান সম্ভব নয় এমন জেলার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে সিলেট। সেখানে ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানে এ মুহূর্তে পাঠদান সম্ভব নয়। সুনামগঞ্জের ২৮৮টি সবগুলোতেই পাঠদান সম্ভব নয়। এছাড়া নেত্রকোনার ১২২, মৌলভীবাজারের ৪০, কুড়িগ্রামের ৫৫, হবিগঞ্জের ৩৫, কিশোরগঞ্জের ৩২, জামালপুরের ২৮, সিরাজগঞ্জের ১৮টিতে পাঠদানের উপযোগিতা নেই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭ জেলার ১৪৫ উপজেলার প্রায় চার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেক স্কুলে এখনো পানি রয়েছে। বন্যার পানি পুরোপুরিভাবে নেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব নয়।’