ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

বন্দুক, দিদারুলের মৃত্যু ও আমেরিকার রক্তাক্ত সিঁড়ি

  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ফারুক যোশী

একটি নগরীর আলোকোজ্জ্বল রাতও কখনো কখনো ভয়ানক অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। নিউইয়র্কে পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের মৃত্যু সেদিনেরই গল্প- যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে, অন্যদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারান উগ্র বন্দুকধারীর হাতে। আমেরিকার ইতিহাসে এ আর নতুন কি, কিন্তু একটা পরিবারের নিত্যদিনের জীবনে এক ভয়াবহ নিদারুণ হাহাকার, শোকটা সাগরের উত্তাল গর্জনের মতো; যা বয়ে যাবে নিরবধি অনাদিকাল। নিউইয়র্ক তথা আমেরিকার বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এই ঘটনা শুধু কি একটা কমিউনিটির শোকে আচ্ছন্ন হবার খবর; বরং এটাই আমেরিকান সমাজের গভীর সংকটের প্রতিচ্ছবি।

আমেরিকায় সাধারণ নাগরিকদের কাছে অস্ত্র থাকে—এটি বহু পুরোনো বিষয়। দেশটির সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী ‘অধিকারের স্বাধীনতা’ জাতীয় পতাকার মতোই রক্ষিত। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ৩৯ কোটিরও বেশি; যা দেশটির মোট জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এই অস্ত্র-উপচে পড়া সমাজে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন বন্দুকজনিত সহিংসতায় প্রাণ হারায় অর্থাৎ বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নিহত হন। এই পরিসংখ্যান শুধু একটি জাতির সহিংস বাস্তবতার প্রতিচ্ছবিই তুলে ধরে না; বরং বিশ্বব্যাপী অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার দরজাও খুলে দেয়। যখন একটি দেশের হাতে অস্ত্রের সংখ্যা জনসংখ্যাকেও অতিক্রম করে, তখন প্রশ্ন উঠে—নিরাপত্তা কোথায়, আর সুরক্ষা কাদের জন্য?

বিগত এক দশকে দেশজুড়ে ‘ম্যাস শুটিং’, স্কুলে গুলি, উপাসনালয়ে হামলা—এরকম সংবাদ নতুন নয়। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫০টির বেশি গণহত্যামূলক হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। টেক্সাসের উভালদে স্কুলের শিশুরা কিংবা লাস ভেগাসের কনসার্টে নিরীহ দর্শক—একটি ট্রিগারের চাপেই শত শত স্বপ্ন থেমে যায়। আমেরিকানরা এ বাস্তবতার সঙ্গে দিনে দিনে অভ্যস্ত হলেও নতুন কোনো বুলেট যখন প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আঘাত হানে, তখন সেটি হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত ও জাতিগত শোকের কারণ। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পরও আমেরিকায় অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। রাজনৈতিক মেরুকরণ, লবিং আর একধরনের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে বন্দুক যেন সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কেউ বলেন, আত্মরক্ষার স্বাধীনতা; কেউ বলেন, এটিই সহিংসতার মূল উৎস। কার্যকর আইন, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ক্রয়যোগ্যতার সীমা বাড়ানো- এসব নিয়েই আলোচনা চলে; যদিও বাস্তবে সাধারণ নাগরিকের কাছে আধুনিক অস্ত্র পৌঁছানো এখনো খুব সহজ। এই অবাধ ছাড় ও বিধিনিষেধহীন পরিস্থিতি দিদারুলের মতো আত্মত্যাগীদের মৃত্যু আরও বেদনাদায়ক করে তোলে।

প্রতিটি লাশের সঙ্গে শুধু একটি নাম যোগ হয় না- যেন প্রতিদিনের স্বপ্ন দেখার সঙ্গেই বাস করে স্বপ্নভঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে লাল-সবুজের হৃদয়ে এক ধরনের অমোচনীয় ক্ষত। দিদারুল ইসলাম বা তার মতো শত শত বাংলাদেশি পরিবার- তারা এই নৈরাশ্যের পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে, স্বপ্নের দেশ আসলেই কি নিরাপদ? এই প্রশ্ন আমাদের সবার কাছে ফিরে আসে; বাস্তবতায় কেউ কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না- যদি বিশ্বাসের পরতে পরতে বন্দুকের ঠাণ্ডা মুখ ঝুলে থাকে।

বহুবার বলা হয়েছে, আমেরিকায় বন্দুক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কিন্তু এই ‘জরুরি’র অজুহাতে কেউ কেউ রাজনীতি করে, কেউ কেউ গলা ফাটায়, আবার কেউ কেউ অন্য দেশের দিকে আঙুল তোলে। তার মধ্যেও বারবার হারিয়ে যায় দিদারুলের মতো মানুষেরা- যারা নিজেদের সীমার বাইরে গিয়ে অন্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু নিজেরাই হারিয়ে যায় সহিংসতার থাবায়। তাই প্রশ্নতো থাকবেই- এই মৃত্যু, এই কান্না, এই হতাশা কি এক সময় ফুরাবে? নাকি বন্দুক আর রক্তের অঙ্কে প্রতিদিন নতুন কেউ যোগ হবে? না, আমেরিকানরা এমন এক সমাজব্যবস্থায় আটকে আছে, এমন এক ভূরাজনীতির খেলায় তারা একক গোলদাতা হিসেবে মত্ত যে, তাদের সামনে আর কোনো রাস্তা নেই। তারা শুধু খালি মাঠ খোঁজে। যেখানে খালি মাঠ নেই, সেখানে চালায় গাজার মত নৃশংসতা, লিবিয়া-ইরাক-সিরিয়ার মত দেশগুলোতে যুদ্ধ বাঁধায় নিজেদের মাঝে, বিরাণ করে ফেলে সব। আমেরিকান সমাজ চায় সেই মধ্যযুগীয় শাসনব্যস্থার আধুনিকতম অধ্যায়। পার্থক্যটা শুধু যেখানে সাম্রাজ্য থাকবে তাদের, দেশ থাকবে অন্যের।

আমরা চাইতেই পারি আমেরিকা সারা পৃথিবীতে একটু মানবিক অধ্যায়ের সূচনা করুক, অবাধ গোলাগুলির পথটা বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু যে পথ ধরে তারা তাদের বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে; সে পথ তো নাগরিকদের অপমৃত্যুকেই আহ্বান করে, করতেই হবে। কারণ মারণাস্ত্রইতো তাদের বেঁচে থাকা, এই মারণাস্ত্রই তাদের বানাচ্ছে ‘গ্রেট আমেরিকা’। তবুও এই-ই তো আমাদের চাওয়া, যেন আর কোনো দিদারুলের বাড়ি ফেরার রাস্তা বন্ধ না হয়ে যায়, তার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান যেন জন্মার পরই জানতে না পারে- এমন এক দুর্বিষহ উন্নত দেশে সে জন্মেছে; যেখানে অপঘাতে মৃত্যুটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এ যেন এক চিরন্তন সত্য।

লেখক: ব্রিটেন প্রবাসী কলামিস্ট
(মতামত লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব)

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দুক, দিদারুলের মৃত্যু ও আমেরিকার রক্তাক্ত সিঁড়ি

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

ফারুক যোশী

একটি নগরীর আলোকোজ্জ্বল রাতও কখনো কখনো ভয়ানক অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। নিউইয়র্কে পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের মৃত্যু সেদিনেরই গল্প- যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে, অন্যদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারান উগ্র বন্দুকধারীর হাতে। আমেরিকার ইতিহাসে এ আর নতুন কি, কিন্তু একটা পরিবারের নিত্যদিনের জীবনে এক ভয়াবহ নিদারুণ হাহাকার, শোকটা সাগরের উত্তাল গর্জনের মতো; যা বয়ে যাবে নিরবধি অনাদিকাল। নিউইয়র্ক তথা আমেরিকার বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এই ঘটনা শুধু কি একটা কমিউনিটির শোকে আচ্ছন্ন হবার খবর; বরং এটাই আমেরিকান সমাজের গভীর সংকটের প্রতিচ্ছবি।

আমেরিকায় সাধারণ নাগরিকদের কাছে অস্ত্র থাকে—এটি বহু পুরোনো বিষয়। দেশটির সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী ‘অধিকারের স্বাধীনতা’ জাতীয় পতাকার মতোই রক্ষিত। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ৩৯ কোটিরও বেশি; যা দেশটির মোট জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এই অস্ত্র-উপচে পড়া সমাজে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন বন্দুকজনিত সহিংসতায় প্রাণ হারায় অর্থাৎ বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নিহত হন। এই পরিসংখ্যান শুধু একটি জাতির সহিংস বাস্তবতার প্রতিচ্ছবিই তুলে ধরে না; বরং বিশ্বব্যাপী অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার দরজাও খুলে দেয়। যখন একটি দেশের হাতে অস্ত্রের সংখ্যা জনসংখ্যাকেও অতিক্রম করে, তখন প্রশ্ন উঠে—নিরাপত্তা কোথায়, আর সুরক্ষা কাদের জন্য?

বিগত এক দশকে দেশজুড়ে ‘ম্যাস শুটিং’, স্কুলে গুলি, উপাসনালয়ে হামলা—এরকম সংবাদ নতুন নয়। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫০টির বেশি গণহত্যামূলক হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। টেক্সাসের উভালদে স্কুলের শিশুরা কিংবা লাস ভেগাসের কনসার্টে নিরীহ দর্শক—একটি ট্রিগারের চাপেই শত শত স্বপ্ন থেমে যায়। আমেরিকানরা এ বাস্তবতার সঙ্গে দিনে দিনে অভ্যস্ত হলেও নতুন কোনো বুলেট যখন প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আঘাত হানে, তখন সেটি হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত ও জাতিগত শোকের কারণ। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পরও আমেরিকায় অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। রাজনৈতিক মেরুকরণ, লবিং আর একধরনের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে বন্দুক যেন সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কেউ বলেন, আত্মরক্ষার স্বাধীনতা; কেউ বলেন, এটিই সহিংসতার মূল উৎস। কার্যকর আইন, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ক্রয়যোগ্যতার সীমা বাড়ানো- এসব নিয়েই আলোচনা চলে; যদিও বাস্তবে সাধারণ নাগরিকের কাছে আধুনিক অস্ত্র পৌঁছানো এখনো খুব সহজ। এই অবাধ ছাড় ও বিধিনিষেধহীন পরিস্থিতি দিদারুলের মতো আত্মত্যাগীদের মৃত্যু আরও বেদনাদায়ক করে তোলে।

প্রতিটি লাশের সঙ্গে শুধু একটি নাম যোগ হয় না- যেন প্রতিদিনের স্বপ্ন দেখার সঙ্গেই বাস করে স্বপ্নভঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে লাল-সবুজের হৃদয়ে এক ধরনের অমোচনীয় ক্ষত। দিদারুল ইসলাম বা তার মতো শত শত বাংলাদেশি পরিবার- তারা এই নৈরাশ্যের পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে, স্বপ্নের দেশ আসলেই কি নিরাপদ? এই প্রশ্ন আমাদের সবার কাছে ফিরে আসে; বাস্তবতায় কেউ কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না- যদি বিশ্বাসের পরতে পরতে বন্দুকের ঠাণ্ডা মুখ ঝুলে থাকে।

বহুবার বলা হয়েছে, আমেরিকায় বন্দুক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কিন্তু এই ‘জরুরি’র অজুহাতে কেউ কেউ রাজনীতি করে, কেউ কেউ গলা ফাটায়, আবার কেউ কেউ অন্য দেশের দিকে আঙুল তোলে। তার মধ্যেও বারবার হারিয়ে যায় দিদারুলের মতো মানুষেরা- যারা নিজেদের সীমার বাইরে গিয়ে অন্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু নিজেরাই হারিয়ে যায় সহিংসতার থাবায়। তাই প্রশ্নতো থাকবেই- এই মৃত্যু, এই কান্না, এই হতাশা কি এক সময় ফুরাবে? নাকি বন্দুক আর রক্তের অঙ্কে প্রতিদিন নতুন কেউ যোগ হবে? না, আমেরিকানরা এমন এক সমাজব্যবস্থায় আটকে আছে, এমন এক ভূরাজনীতির খেলায় তারা একক গোলদাতা হিসেবে মত্ত যে, তাদের সামনে আর কোনো রাস্তা নেই। তারা শুধু খালি মাঠ খোঁজে। যেখানে খালি মাঠ নেই, সেখানে চালায় গাজার মত নৃশংসতা, লিবিয়া-ইরাক-সিরিয়ার মত দেশগুলোতে যুদ্ধ বাঁধায় নিজেদের মাঝে, বিরাণ করে ফেলে সব। আমেরিকান সমাজ চায় সেই মধ্যযুগীয় শাসনব্যস্থার আধুনিকতম অধ্যায়। পার্থক্যটা শুধু যেখানে সাম্রাজ্য থাকবে তাদের, দেশ থাকবে অন্যের।

আমরা চাইতেই পারি আমেরিকা সারা পৃথিবীতে একটু মানবিক অধ্যায়ের সূচনা করুক, অবাধ গোলাগুলির পথটা বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু যে পথ ধরে তারা তাদের বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে; সে পথ তো নাগরিকদের অপমৃত্যুকেই আহ্বান করে, করতেই হবে। কারণ মারণাস্ত্রইতো তাদের বেঁচে থাকা, এই মারণাস্ত্রই তাদের বানাচ্ছে ‘গ্রেট আমেরিকা’। তবুও এই-ই তো আমাদের চাওয়া, যেন আর কোনো দিদারুলের বাড়ি ফেরার রাস্তা বন্ধ না হয়ে যায়, তার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান যেন জন্মার পরই জানতে না পারে- এমন এক দুর্বিষহ উন্নত দেশে সে জন্মেছে; যেখানে অপঘাতে মৃত্যুটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এ যেন এক চিরন্তন সত্য।

লেখক: ব্রিটেন প্রবাসী কলামিস্ট
(মতামত লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব)

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ